নয়া দিল্লি : ধর্ষণের অভিযোগ থাকা ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হল তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে। কিশোরীর মতামতের ভিত্তিতে অভিযুক্ত-বাবার হাতে শিশুকে তুলে দেওয়া হয়। এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, শিশুটিকে কোনও মতেই মহিলা শেল্টার হোমে রাখা যাবে না।
আদালতের বক্তব্য, ওই কিশোরীকে এখন অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া যাবে না। কিশোরী যতক্ষণ না প্রাপ্ত বয়স্ক হচ্ছে তাকে হোমেই থাকতে হবে। তার পর সে যেখানে থাকতে চায় সেখানে থাকার স্বাধীনতা দেওয়া হবে। বিচারপতি মুক্ত গুপ্তা এই নির্দেশ দেন।
তবে তার আগে তিনি আদালতে উপস্থিত থাকা কিশোরীর কাছে তার মতামত জানতে চান। কিশোরীর জানায়, গত ৮ অগাস্ট সন্তানের জন্ম হয়েছে। তাকে তার বায়োলজিক্যাল বাবার হাতেই তুলে দেওয়া হোক। এছাড়া সে হোমে থাকতে চায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে চায় না।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাবা-মা-ও আদালতকে জানান, তাঁরা শিশুর যথায়থ যত্ন নেবেন। তবে আদালত জানতে পারে, কিশোরীর পরিবার এই সম্পর্কের বিপক্ষে। এমনকী কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার পরিবার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ এনেছিল। যে মামলায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তকে জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
প্রসঙ্গত, কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলায় এফআইআর দায়ের হয়। সেই সময় ওই কিশোরী ক্লাস নাইনের ছাত্রী ছিল। মার্চের ২১ তারিখে স্কুলে যাওয়ার পর আর ফেরেনি সে। তখন পরিবার সন্দেহ করে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
এরপর ১৫ এপ্রিল তার খোঁজ মেলে। সেই সময় কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। পরে হাইকোর্টে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিনের বিষয়টি হাইকোর্টে ওঠে। সেই সময় কিশোরী জানায়, উভয়পক্ষের সহমতের ভিত্তিতে তাদের এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তারা নিজেদের ইচ্ছায় বিয়েও করেছে। এমনকী কিশোরী এও জানায় যে, সে তারা বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে চায় না। কারণ, তাঁরা এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে।