দিল্লি : রাজধানীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি পুরোপুরি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগে বিশেষ পদক্ষেপ দিল্লি সরকারের। আজ রাত থেকে সম্পূর্ণ কার্ফু জারি থাকবে রাজধানীতে। চলবে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত।
রবিবার রেকর্ড সংক্রমণ দেখে দিল্লি । আক্রান্ত হয় ২৫ হাজার ৪৬২ জন। এই মুহূর্তে শহরে প্রতি তিনটি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে একটিতে পজিটিভ রেজাল্ট আসছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে সপ্তাহান্তে কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছিল দিল্লি সরকারের তরফে। কিন্তু, তাতেও শহরের কিছু জায়গায় একাংশ মানুষ করোনাবিধি লঙ্ঘন করছিল। কাজেই, নিয়মের কড়াকড়ির প্রয়োজন বোধ করে সরকার।
এরপর আজ সকালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আজ রাতে থেকে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ কার্ফু জারি থাকবে দিল্লিতে।
এই সময়ের মধ্যে সমস্ত বেসরকারি অফিসের কাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে করতে হবে। তবে সরকারি অফিস এবং অত্যাবশ্যকীয় সেক্টর খোলা থাকবে।
এর আগের নির্দেশনামায় দিল্লি সরকারের তরফে- অডিটোরিয়াম, রেস্তরাঁ, মল, জিম, স্পা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে, এক-তৃতীয়াংশ দর্শক নিয়ে সিনমা হল খোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার। এই পদক্ষেপ সত্ত্বেও রাজধানীতে সংক্রমণে রাশ টানা যায়নি। সেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় বিশাল চাপের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল এখটি ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। খুব দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে। যে কারণে আমাদের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদিও কয়েকদিন আগেও সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু, যেভাবে করোনা বাড়ছে, কেউ জানে না কোথায় গিয়ে তা পৌছাবে।
গতবছর ২২ মার্চ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন ছিল দিল্লিতে। ধাপে ধাপে তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই করোনা সামলাতে কার্ফু জারি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরী সমস্ত পরিষেবায় ছাড় দিয়ে করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে বাধ্য হয়েই যে পদক্ষেপ বলে জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থাকরে।