নয়াদিল্লি: বিপজ্জনক পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে দিল্লির Delhi) বাতাসে দূষণের পরিমাণ। বায়ু দূষণ রোধে প্রস্তুত দিল্লি। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানিয়ে দিল দিল্লি সরকার (Delhi Government)। দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ নিকটবর্তী রাজ্যগুলিতেও লকডাউন (Lockdown) জারি করলে পরিস্থিতি মোকাবিলা আরও সহজ হবে। সর্বোচ্চ আদালতে শুনানিতে জানাল দিল্লি সরকার। ব্যবস্থা নিতে আগামীকালের মধ্যে বৈঠকে বসুন, কেন্দ্রকে নির্দেশ আদালতের। 


দূষণ রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা জানতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে, এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল জানান, “মাঠে ফসলের অবশেষ অংশ পোড়ানোর জেরে দূষণের পরিমাণ সামান্য। ১০০ শতাংশ দূষণের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশই এর জন্য দায়ী।’’ আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন দিল্লি সরকার আদালতে জানায়, দিল্লির পাশাপাশি নয়ডা, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদের মতো জায়গায় লকডাউন করা উচিত। অন্যদিকে আদালতে সলিসিটর জেনারেল জানান, গত দুদিনে দূষণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জোড়-বিজোড় সংখ্যায় নিয়ন্ত্রণ করা হোক গাড়ি। পরামর্শ সলিসিটর জেনারেলের। জরুরি ভিত্তিতে গাড়িকেই দিল্লিতে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হোক। 


এর আগে শুনানিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে বলে, “লকডাউনের (Lockdown) মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ভাবতে পারেন। মানুষ বাঁচবে কীভাবে? গাড়ি, ধুলো, বাজি থেকেও দূষণ ছড়াচ্ছে। এমন কিছু করুন, যাতে ২-৩ দিনে পরিস্থিতির (Situation) উন্নতি হয়।'' পরিস্থিতি এমন যে, আদালত কক্ষে আমাদের মাস্ক পরতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির (Chief Justice)। সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্মাণ কাজ, খড় পোড়ানোয় বেশি দূষণ হচ্ছে। এদিনের শুনানিতে আদালত কেন্দ্রীয় সরকার সহ দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আগামীকালের মধ্যে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছে। এক সপ্তাহ যেন এই খড় পোড়ানো বন্ধ থাকে তা দেখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (Graded Response Action Plan) সাব কমিটি ইতিমধ্যে দূষণ থেকে বাঁচতে অ্যাডভাইজরি জারি করেছে। সরকারি এবং বেসরকারি অফিস এবং অন্যান্য সংস্থাকে ৩০ শতাংশ গাড়ির ব্যবহার কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে বাড়িতে থাকা এবং বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছে। জরুরি অবস্থার অংশ হিসেবে দিল্লিতে ট্রাকের প্রবেশ নিষেধ,  নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।