নয়া দিল্লি :  হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে বারবার 'আপত্তিকর' বিষয়বস্তু পোস্ট করা সত্ত্বেও কিছু ব্যবহারকারীকে ব্লক করেনি ট্যুইটার (Twitter)। এই মর্মে সোমবার মাইক্রোব্লগিং জায়েন্টের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। অন্যান্য মানুষের অনুভূতি এবং ধর্ম নিয়ে ট্যুইটার মাথায় ঘামায় না বলেও ভর্ৎসনা করা হয় হাইকোর্টের তরফে।


Atheist Republic নামে একটি ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একাধিক আপত্তিকর পোস্ট করা হয়েছে । বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও, ট্যুইটার এই অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেনি, আবার আপত্তিকর বিষয়বস্তুও তুলে নেয়নি। এই অভিযোগ তুলে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী আদিত্য দেশওয়াল। সেই মামলারই সোমবার শুনানি ছিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিপিন সাঙ্গি ও বিচারপতি নবীন চাওলার ডিভিশন বেঞ্চে। 


শুনানিতে বেঞ্চের তরফে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে বলা হয়, আপনারা সংবেদনশীল বোধ করলে তবেই কাউকে ব্লক করেন। কিন্তু, অন্যান্য জাতি বা অন্যান্য অঞ্চলের লোকদের সম্পর্কে আপনারা সংবেদনশীল নন। যদি একই ধরনের ঘটনা অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে করা হত, তবে আপনারা বিষয়টি নিয়ে আরও সিরিয়াস হয়ে উঠতেন।


ট্যুইটারের তরফে মামলায় শুনানি চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী (Senior Advocate) সিদ্ধার্থ লুথরা। তিনি আদালতে জানান, আদালত বা সরকারের আদেশ ছাড়া ট্যুইটার কোনও অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে পারে না। তখন আদালতের তরফে উল্লেখ করা হয়, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্য়াকাউন্ট ব্লক করা হয়েছিল ট্যুইটারের তরফে।


এদিকে কেন্দ্রের আইনজীবী আদালতকে জানান যে, অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করার জন্য কেন্দ্র এবং ট্যুইটারের মধ্যে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি রয়েছে। এই এসওপি অনুসারে, যদি ৬০ দিনের মধ্যে পাঁচটির বেশি মেসেজ নিয়ম লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করা যেতে পারে। কেন্দ্রের পক্ষে উপস্থিত হয়ে অ্যাডভোকেট হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্কর আদালতকে একথা জানান। 


Atheist Republic-এর তরফে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বৃন্দা ভাণ্ডারি। উল্লেখ্য, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর।