নয়াদিল্লি: মানুষ মরছে আর আমাদের কি চোখ বুজে থাকতে বলছেন? দ্রুত দিল্লিতে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করুন নয়তো আদালত অবমাননার অভিযোগ আসবে। এনাফ ইজ এনাফ। ঠিক এমনই কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে শনিবার হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
রাজধানীতে অক্সিজেনের আকাল ও মানুষের মৃত্যুমিছিলের সারির মাঝে দিল্লি হাইকোর্টে প্রায় রোজই দ্রুত ও কড়া পদক্ষেপ করার জন্য কেন্দ্র ও সেখানকার রাজ্য সরকারকে বলছে। কিন্তু শনিবার ফের বাটরা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ৮ জনের মৃত্যুর খবর শুনে কার্যত অগ্নিশর্মা মেজাজ ধারণ করেন বিচারকরা।
কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারকরা বলেন, 'এনাফ ইজ এনাফ। জল মাথার উপর পৌঁছে গিয়েছে। দিল্লিতে মানুষ মরছে, আমাদের কি চোখ বুজে থাকতে বলছেন? ৪৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দিল্লিতে দ্রুত বন্টন করুন। আপনারাই এই রূপরেখা তৈরি করেছিলেন তা পালন করুন। নয়তো আদালত অবমাননার মতো অভিযোগ আসবে।' সোমবার পুরো বিষয়টির পরবর্তী শুনানি হবে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই রাজধানীতে অক্সিজেনের সংকট চরম আকার নিয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি হাসপাতালে স্রেফ অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে একাধিক রোগী। সরবরাহ আগের থেকে কিছুটা ভালো হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি এখনও। একাধিক হাসপাতাল স্রেফ অক্সিজেনের জোগান না থাকায় রোগী ভর্তি করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
এমনিতেই গোটা দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ যে জায়গাগুলো তাদের মধ্যে অন্যতম দিল্লি। সংক্রমণ বা মৃত্যুহার কোনওটাই কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই।
এই অবস্থায় শনিবারই ফের একবার সেখানে লকড়াউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার। আর গোটা পরিস্থিতিতে নজর রেখে আগে থেকেই বারবার অক্সিজেনের সরবরাহ সুলভ করার জন্য সওয়াল করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
শুক্রবারও অক্সিজেন সরবরাহে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য সমস্ত অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থা ও হাসপাতালগুলিকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গঠন করার পরামর্শ দিয়েছিল তারা।