নয়াদিল্লি : দিল্লিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। আজ নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গাঁধী। 

সংবাদমাধ্যম এএনআইকে রাহুল জানান, "আমি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি ... তাঁরা ন্যায়বিচার চান এবং অন্য কিছু নয়। পরিবারের মানুষ বলছেন, ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না তাঁরা, তাঁদের সাহায্য করা উচিত। আমি মেয়েটির পরিবারের পাশে সবরকমভাবে আছি। আমি কথা দিয়েছিলাম পাশে থাকব। আমি আছি ওঁরা যতদিন না ন্যায় বিচার পান, ততদিন পর্যন্ত। '

এরপরই তিনি ট্যুইট করেন, ''ওঁর মা-বাবার কান্না একটাই কথা ব্যক্ত করছে ...তাঁদের মেয়ে, দেশের মেয়ের ন্যায় প্রাপ্য। আমি ওঁদের সঙ্গে আছি, ন্যায়ের লড়াইয়ে সঙ্গে আছি। ''




দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আজ নাবালিকার পরিবারের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা।

এদিকে, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ পূর্ব দিল্লি) ইঙ্গিত প্রতাপ সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, অভিযুক্ত চারজনেরই এখন পলিগ্রাফ এবং নার্কোটিকস পরীক্ষা হবে। তিনি আরও বলেন, 'ওয়াটার কুলারটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে যন্ত্রের মধ্য দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক স্রোত যাচ্ছে; এটি অভিযুক্তের দাবিকে সমর্থন করছে, তাদের দাবি যে মেয়েটি বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে।'



পরিবারের অভিযোগ, খুন করার পর নির্যাতিতার পরিবারকে চাপ দিয়ে দেহ দাহ করা হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক পুরোহিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন এলাকার বাসিন্দারা। ৯ বছরের ওই নাবালিকার বাড়ি দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পুরানা নাঙ্গলে। রবিবার সন্ধেয় শ্মশানের কুলার থেকে পানীয় জল আনতে যায় সে। তারপর আর ফেরেনি। পরিবারের দাবি, কয়েকজন এসে নাবালিকার মাকে শ্মশানে ডেকে নিয়ে যায়। অভিভাবককে জানানো হয়, জল নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে নাবালিকা। অভিযোগ, মৃতের মাকে বোঝানো হয়, মামলা দায়ের করলে ময়নাতদন্ত হবে। তাহলে তাঁর মেয়ের অঙ্গ চুরি করা হবে। তাই অবিলম্বে তার দেহ দাহ করে দেওয়া হোক। 

ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন এলাকার বাসিন্দারা।