নয়া দিল্লি : দিন দিন বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াল কেন্দ্রের রিপোর্ট। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৯৩ হাজারের বেশি সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ জমা পড়েছে। মঙ্গলবার লোকসভায় একথা জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে। 


এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, একই সময়ে দেশে ৪৬টি সাইবার সন্ত্রাসের রিপোর্ট  জমা পড়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০ -এর ৬৬এফ ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।    


ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো যে তথ্য প্রকাশ করেছে সেই অনুযায়ী, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে ২১৭৯৬, ২৭২৪৮ ও ৪৪৫৪৬ টি সাইবার ক্রাইমের মামলা রুজু হয়েছে। এক লিখিত জবাবে সংসদে একথা জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।


তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম। তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০ -এর ৭০বি ধারার বিধান অনুযায়ী কাজ করে এই এজেন্সি। যখনই ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিমের নজরে কোনও বিষয় আসে, তখনই তারা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর এবং সেক্টরাল কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিমকে সতর্ক করে দেয়।


পেগাসাসের ফোনে আড়িপাতা নিয়ে তোলপাড় দেশ। নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে 'ডার্ক ওয়েব'। সম্প্রতি ডার্ক ওয়েব নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ জীতেন জৈন। ট্যুইট করে তিনি জানিয়েছেন, লক্ষাধিক ক্লাবহাউজ ইউজারের ডেটাবেস হ্যাক করা হয়েছে। তাঁদের ফোন নম্বর বিক্রি চলছে ডার্ক ওয়েবে।


সবচেয়ে চিন্তার বিষয়, ফোন নম্বরের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ফোনবুকের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। যার ফলে ক্লাবহাউস অ্যাপে লগ ইন না করলেও আপনার ফোন নম্বর চলে যেতে পারে প্রতারকদের হাতে। তবে জৈন যাই বলুক না কেন, এই খবর এখনও নিশ্চিত করেনি ক্লাবহাউস। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন 'ইন্ডিপেন্ডেন্ট সিকিউরিটি রিসার্চার' রাজশেখর রাজোরিয়া। তাঁর মতে, নাম ছাড়াই এই ফোন নম্বরগুলি বিক্রি করছে হ্যাকাররা।