নয়া দিল্লি : দিল্লি হিংসার (Delhi Violence) ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে (Home Ministry) প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। তাতে ঘটনার পুঙ্খনাপুঙ্খ বিবরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে জাহাঙ্গিরপুরী হিংসায় বাংলা-যোগের জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ, ধৃত ২৩ জনের মধ্যে পাঁচ জন বাঙালি কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, হলদিয়ায় বাড়ি দিল্লিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ আনসারের।
দিন পনেরো আগেও হলদিয়ায় গ্রামের বাড়িতে এসেছিল মহম্মদ আনসারের স্ত্রী। এখন কুমারপুর গ্রামের সেই বাড়ি তালাবন্ধ। স্থানীয় সূত্রে খবর, আদতে অসমের বাসিন্দা হলেও শ্বশুরবাড়ির কাছে বাড়ি করেছিল আনসার। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছাঁটের ব্যবসা থেকে কয়েকবছরের মধ্যে উল্কার গতিতে উত্থান হয় আনসারের। কোটি টাকার মালিক হয় সে। গত ৪-৫ বছর ধরে দিল্লিতে থাকলেও বছরে এক-দুবার গ্রামের বাড়িতে আসত আনসার।
আরও পড়ুন ; 'পুষ্পা স্টাইলে' কোর্টে দিল্লি হিংসার মূল অভিযুক্ত, ফটোগ্রাফারদের হাসতে হাসতে ছবি
রবিনহুড ভাবমূর্তি বজায় রাখতে স্থানীয় ক্লাব ও প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিয়ে সাহায্য করার পাশাপাশি চলত দেদার খাওয়াদাওয়া। স্থানীয়দের দাবি, দিল্লিকাণ্ডে আনসারের যোগ ভিত্তিহীন, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তদন্তে বাংলায় আসতে পারে দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল।
আনসারের অতীত-
এই প্রথমবার নয়। অতীতেও আনসারের জেলযাত্রার নজির রয়েছে। এর আগে দুটি হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও জুয়া ও অস্ত্র আইনে পাঁচবার মামলা হয়েছে আনসারের বিরুদ্ধে। বহুবার আনসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী হয়েছিল সেদিন ?
পুলিশ জানিয়েছে, হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে সেদিন। সংঘর্ষের সময় পাথর-ছোড়া ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া যায়। এই ঘটনায় আট পুলিশ কর্মী ছাড়াও একজন স্থানীয় আহত হন। কিছু গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। অন্তত তেমনই জানিয়েছে পুলিশ।