নয়াদিল্লি : রাতের বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি মিলল দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী  এলাকার মানুষের। বৃষ্টিতে কেটেছে বিষাক্ত ধোঁয়াশার আস্তরণ। ফলে, কিছুটা উন্নতি হয়েছে বাতাসের গুণগত মানের। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতরের আশা, রবিবার দীপাবলির আগে দূষণ আরও কিছুটা কমবে। বিষাক্ত ধোঁয়াশার কারণে বাতাসের মান ক্রমশ কমতে থাকায় কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের জন্য আইআইটি-র সঙ্গে আলোচনা করছিল দিল্লি সরকার। এই আবহে প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে সংশ্লিষ্ট সকলে।


মারাত্মক দূষণে গত কয়েকদিন ধরে জেরবার অবস্থা হয়েছে দিল্লির। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-নির্দিষ্ট স্তরের ১০০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক পার্টিকলে ছেয়ে যায় রাজধানীর বাতাস। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর হিসাবে একেবারে শীর্ষস্থানে থেকেছে দিল্লি। 


বাতাসের গুণগত মান নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালানো সরকারি সংস্থা SAFAR-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী আজ সকাল ৭টায় দিল্লির বাতাসের মান ছিল ৪০৭। খারাপ পরিস্থিতি আশোক বিহার (৪৪৩), আনন্দ বিহার (৪৩৬), বাওনা (৪৩৩), রোহিণী (৪২৯) ও পাঞ্জাবি বাগের (৪২২) মতো এলাকার। নয়ডা, গুরুগ্রামেও অবস্থা তেমন একটা সুবিধার নয়। আজ সকালে নয়ডায় গড় AQI ছিল ৪৭৫, ফরিদাবাদে ৪৫৯ , গুরুগ্রামে ৩৮৬ ও গাজিয়াবাদে ৩২৫। তবে, এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভোর ৪টের পর দূষণকারী PM 2.5 ও PM10-এর স্তর অনেকটাই কমেছে। 


 






এদিকে দূষণ রোধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা করছে দিল্লি সরকার। এমনকী কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের বিষয়টিও আলোচনার মধ্যে রয়েছে। এমনকী বৃহস্পতিবার রাতে আম আদমি পার্টির অনেক মন্ত্রীকেই ময়দানে নেমে দূষণ-রোধে উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে দূষণ-রোধে ইতিমধ্যে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আজ খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। 


এদিকে দূষণের প্রকোপ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে শীতকালীন ছুটির আগেই ৯ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লির স্কুলগুলিতে। দিল্লির বাতাসের গুণমানের আরও অবনতি ঘটায় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এর জন্য  মূলত হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে ফসলের গোড়া পোড়ানোকে দায়ী করা হচ্ছিল। সেই নিয়ে আগেই কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র এবং রাজ্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি, সকলকে একজোট হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেয়। শীর্ষ আদালত জানায়, দূষণ নিয়ে রাজনীতির সময় নয় এটা। একজোটে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। ফসলের গোড়া পোড়ানো বন্ধ করতেও পদক্ষেপ করতে বলে শীর্ষ আদালত।