নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day 2022) দিল্লিতে (Delhi) গণধর্ষণের (Delhi Rape Case) অভিযোগ। দিল্লি মহিলা কমিশনের (Delhi Commission for Women - DCW) চেয়ারপার্সনের ট্যুইট করা ভিডিও ঘিরে তোলপাড় দেশ। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির বিবেক বিহার এলাকায়। জানা গিয়েছে, একদল চোলাই কারবারি এক তরুণীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের (Gang Rape) পর মাথা মুড়িয়ে অত্যাচার চালায়। এমনকী এর পর গলায় জুতোর মালা পরিয়ে এলাকা ঘোরানোর অভিযোগও উঠেছে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে।
ঘটনায় দিল্লি পুলিশকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে নোটিস দিয়েছে মহিলা কমিশন (Delhi Commission for Women) । দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগ, বেআইনি মদের ব্যবসার প্রতিবাদ করাতেই তাঁর উপর নির্যাতন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ (Delhi Police) জানতে পারে অভিযুক্তরা ওই তরুণীর পূর্ব পরিচিত।
অন্যদিকে গণধর্ষণের পর অত্যাচার নিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমে প্রত্যাখ্যানের পর স্থানীয় এক যুবক আত্মহত্যা করে। তার প্রতিশোধ নিতেই এই নির্মম কাজ করেছে মৃতের পরিচিতরা। ঘটনায় দিল্লি পুলিশেরর তরফে জানানো হয়েছে, বিবেক বিহারে গণধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Arunachal Boy Missing Case: অরুণাচলের অপহৃত তরুণকে ফিরিয়ে দিয়েছে চিনা সেনা, জানালেন কিরেন রিজিজু
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM Arvind Kejriwal)। স্বাতী মালিওয়ালের ট্যুইট করা ভিডিও রিট্যুইট করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) লিখেছেন, ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা, কী করে অপরাধীদের এত সাহস হল? পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ
এর আগে দিল্লিতে আরও একটি ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল দিল্লি। ওল্ড নাঙ্গাল গ্রামে খুন করার পর নির্যাতিতার পরিবারকে চাপ দিয়ে দেহ দাহ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক পুরোহিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন এলাকার বাসিন্দারা।
৯ বছরের ওই নাবালিকার বাড়ি দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পুরানা নাঙ্গলে। গ্রামে তার বাবা -মায়ের সাথে শ্মশানের সামনে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত মেয়েটির পরিবার। রবিবার সন্ধেয় শ্মশানের কুলার থেকে পানীয় জল আনতে যায় সে। তারপর আর ফেরেনি। পরিবারের দাবি, কয়েকজন এসে নাবালিকার মাকে শ্মশানে ডেকে নিয়ে যায়। অভিভাবককে জানানো হয়, জল নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে নাবালিকা। পরিবারের লোকের অভিযোগ, মৃতের মাকে বোঝানো হয়, মামলা দায়ের করলে ময়নাতদন্ত হবে। তাহলে তাঁর মেয়ের অঙ্গ চুরি করা হবে। তাই অবিলম্বে তার দেহ দাহ করে দেওয়া হোক। এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।