নিউ দিল্লি: চলতি বছরে করোনার সবচেয়ে সংক্রমণ প্রজাতি ডেল্টা স্ট্রেনের জেরে দ্বিতীয় ঢেউ দেখেছিল দেশ। যার প্রভাবে করোনা সংক্রমণে এবং মৃত্যুতে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি হয়েছিল ভারতে। এর আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল ভারতে তৃতীয় ঢেউ যদি আছড়ে পড়ে সেক্ষেত্রে দায়ী থাকবে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। যদিও মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছে দেশে সংক্রমণ থাকলেও ডেল্টা প্লাসের জেরে এই সংক্রমণ হচ্ছে না।
করোনার এই রূপের সংক্রমণ ডেল্টার মতো ততটা দ্রুত ছড়াচ্ছে না বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৮৬ জনের দেহ ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাসের এই প্রজাতি। গত ৪৬ দিনে মাত্র ৩৮ জনের শরীরে ‘ডেল্টা’-এর এই স্ট্রেনের সন্ধান মিলেছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (এনসিডিসি)-এর ডিরেক্টর এস কে সিংহ এদিন বলেন, “মে-র শেষ পর্যন্ত ডেল্টা ব্যাপক ক্ষতি করেছে দেশে। সেই সময় সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে ৯০ শতাংশই ডেল্টা রূপ।” উল্লেখ্য, ডেল্টার ভয়াবহতা দূর হতে না হতেই ডেল্টার নতুন রূপ এসে হাজির হয় ভারতে। এই প্রজাতিকে আগেই ‘ভ্যারিয়ান্ট অব কনসার্ন’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তবে ভারতে এর মারাত্মক প্রভাব এখনও পড়েনি বলেই জানান হয়েছে।
কেন্দ্রের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ডেল্টা প্লাস আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। আর ডেল্টা সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। তবে ডেল্টা প্লাসের পাশাপাশি করোনার আলফা, বেটা, গামা প্রজাতির উপরও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র। কোভিডের নয়া দুই রূপ কাপ্পা এবং বি১৬১৭.৩-এর কেসের উপরও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, “দেশে সামগ্রিক ভাবে সংক্রমণের হার কমলেও কিছু কিছু অংশে এখনও তা বেশ উদ্বেগজনক অবস্থাতেই রয়েছে।” বিশ্বজুড়ে অতিমারি সৃষ্টিকারী ভাইরাসের প্রকোপে দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু কখনও বাড়ছে, আবার কখনও কমছে। মহারাষ্ট্র-কেরল সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।