কলকাতা: দেওঘরের (Deoghar) ত্রিকূট পাহাড়ে ৪৮ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষ। এদিকে শেষের পথেই ফের মর্মান্তিক ঘটনা। প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচ্চতায় দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে উদ্ধারকাজ চলাকালীন ফের দুর্ঘটনা (Accident) ঘটে। উদ্ধারকাজের সময় দড়ি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক মহিলা পর্যটকের।                                                                                                                 

  


ঠিক কী ঘটেছে?


আজ সকালে ওই এলাকায় কুয়াশা থাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করতে দেরি হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ১০ বছরের এক বালক-সহ আটকে পড়া বেশ কয়েকজন পর্যটককে উদ্ধার করে বায়ুসেনা। রবিবার দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনার জেরে ৫টি ট্রলিতে আটকে পড়েন পর্যটকরা। গতকাল সকালে উদ্ধারকাজে নামে বায়ুসেনার Mi-17 ও Mi-17 V5 কপ্টার। বায়ুসেনার গরুড় কমান্ডোরাও উদ্ধারকাজ চালায়।


আরও পড়ুন, 'দল এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না', হাঁসখালিতে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে প্রতিক্রিয়া মহুয়ার


রোপওয়ে দুর্ঘটনাটি (deoghar ropeway accident ) ঘটে রবিবার। ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন ৮ জন। সূত্রের খবর, ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়েতে প্রাথমিক ফেঁসে ছিলেন ৪৮ জন যাত্রী। তাঁদের উদ্ধার করতে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বায়ুসনার (air force )  হেলিকপ্টারের। তবে সূত্রের খবর, প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে, তাই স্থির থাকতে পারছে না হেলিকপ্টার, সেই কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। যাঁরা রোপওয়েতে আটকে রয়েছেন, ২২ ঘণ্টা ধরে তাঁদের কাছে জল নেই।


তাঁদের কাছে জল পৌঁছোনোই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। মাটি থেকে ৮০০ মিটার উঁচুতে ওই রোপওয়েতে ফেঁসে আছেন বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের পর্যটকরা।