নয়া দিল্লি: ফের পাক-মসনদে শরিফ পরিবার। ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। দায়িত্ব নিয়েই কাশ্মীর (Kashmir) সমস্যার সমাধানে মোদিকে বার্তা। পাল্টা পাক প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন বার্তায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার কথা বললেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। 


কী লিখেছেন মোদি? 


ট্যুইটারে মোদি লেখেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য মহম্মদ শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন। সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চায় ভারত। 






পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরিফ। ৭৫ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানে কোনও প্রধানমন্ত্রী তাঁর সময়সীমা পূর্ণ করতে পারেননি। বিধানসভা থেকে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের বিধায়কদের ওয়াকআউট। পাকিস্তানে ফের ক্ষমতায় ফিরল শরিফ পরিবার। 


শাহবাজ শরিফ কে? 


৭০ বছরের শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। নওয়াজ শরিফের ভাই বা PML (N)-এর প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অন্য একটি পরিচয় আছে শাহবাজ শরিফের। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৯৭, ২০০৮ ও ২০১৩-য়। সেখানকার সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের মুখ্যমন্ত্রীও তিনিই! বিত্তবান পরিবারের শাহবাজের প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ দক্ষতার জন্য পরিচিত। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বেজিং পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে চিনের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে পানামা পেপার মামলায় নওয়াজ শরিফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (PML-N)-এর প্রধান হন শাহবাজ। শনিবার মধ্যরাতে ইমরান খান গদিচ্যূত হওয়ার পর তিনি বলেন, ' তিনি কোনও বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। এই ফল পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের ইচ্ছেতেই হয়েছে।'  পাকিস্তানের সুদিন ফিরতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে বেআইনি লেনদেন মামলায় শাহবাজ শরিফকে সমন পাঠিয়েছে আদালত। এহেন শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের তদন্তকারী এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিককে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হল।  তিনিই পাকিস্তানের পঞ্জাবের দীর্ঘমেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী।