শিলং : ভাবনা-চিন্তা ছিলই। এবার তা বাস্তবে রূপায়ন হল। এই প্রথম প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধ পৌঁছে দিল ড্রোন। মেঘালয়ের পশ্চিম খাসির পাহাড়ি জেলার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয় ওষুধ। দেশে এই উদ্যোগ প্রথম। জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা জানিয়েছেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, Hybrid e-VTOL ড্রোনের মাধ্যমে দেশে প্রথম ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হল। এটা পাইলট প্রোজেক্ট। নংস্টোইন থেকে মাওয়েইত পিএইচসি-তে মাত্র ২৫ মিনিটে ২৫ কিলোমিটারের দূরত্বে এই সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ পাল্টে দিতে পারে এই ড্রোন প্রযুক্তি। এটি একটি বিরল প্রকল্প। যে সব জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছনো কঠিন, সেসব ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা ভীষণ কাজে আসতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে ইনোভেশন টিম টেক ঈগল, স্মার্ট ভিলেজ মুভমেন্ট যৌথভাবে এই কাজে প্রযুক্তিগত সাহায্য দিয়েছে। সূত্রের খবর, e-VTOL ড্রোন AquilaX2 সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক সিনিয়র আধিকারিক জানান, পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই উদ্যোগ সফল হয়েছে। তিন ঘণ্টা সময়কে আধ ঘণ্টারও কম সময়ে নামিয়ে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকেল (ড্রোন) বানানো হয়ে থাকে ঠিক কীভাবে ? কীভাবে ড্রোন ওড়ানোই বা হয় আকাশে ? ড্রোন সম্পর্কিত যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য নিয়ে গত মাসে বিশেষ এক কর্মশালা আয়োজিত হয় কলকাতায়। বিড়লা ইনডস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলকিক্যাল মিউজিয়্যামে আয়োজিত হয় দু'দিনের এই কর্মশালা। কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের ক্লাস সিক্স থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত পড়ুয়াদের যেখানে হাতেকলমে দেখানো হয় বিস্তারিত। ৬০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আয়োজিত হয় এই কর্মশালা। ড্রোন মেকিং ওয়ার্কশপ নামে যে কর্মশালায় প্রবল উৎসাহে অংশ নেয় খুদেরা। যাবতীয় কোভিড প্রোটোকল মেনে চলে ড্রোন নিয়ে কর্মশালা।