নয়াদিল্লি: সাত সকালে ভাল খবরে ঘুম ভাঙল আতঙ্কিত দেশবাসীর। এবার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে রাশিয়ার করোনা টিকা স্পুটনিক ভি (Sputnik V)। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Drug Controller General of India) ছাড়পত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চওড়া হাসি ফুটেছে দেশের চিকিৎসকদের মুখে। স্পুটনিক ভি, ধরলে এখন মোট তিনটি করোনা টিকা দেওয়া যাবে করোনা রোগীদের।


করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিনকে আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিল সিডিএসসিও-র সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি । কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের পর এই নিয়ে তৃতীয় করোনা ভ্যাকসিন ভারতে চূড়ান্ত অনুমতি পেতে চলেছে।


হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি এই ভ্যাকসিন ভারতে ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। ভারতে স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)-এর সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাত মিলিয়েছিল ডক্টর রেড্ডিস।


এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯১.৬ শতাংশ এবং ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ভেনেজুয়েলা ও বেলারুশে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। স্পুটনিক ফাইভের ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 


ভারতে বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এরইমধ্যে স্পুটনিক ফাইভ টিকা  চূড়ান্ত অনুমোদন  পেলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য মিলবে। স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিনকে জরুরিকালীন ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সিডিএসসিও (সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন)-এর বিশেষজ্ঞ কমিটি।। এবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-এর তরফে আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র প্রয়োজন।


কিছুদিন আগেই ভারত সফরে এসে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লেভরভ জানিয়েছিলেন যে, কোভিড ১৯ প্রতিরোধক স্পুটনিক ফাইভ টিকার ৭০ কোটি ডোজ উৎপাদনের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে। এখন সেই ভ্যাকসিন ভারতে ছাড়পত্র পেতে আর একটি মাত্র ধাপের অপেক্ষায়।


এই কোভিড ১৯ টিকা তৈরি হয়েছে  গামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে। এই ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ মেয়াদি প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম বলে দাবি রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। সোভিয়েত জমানার প্রথম উপগ্রহ স্পুটনিক ফাইভের নামে এই টিকার নামকরণ করা হয়েছে। 


অন্যদিকে, ভারতে করোনার দাপট অব্যাহত। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের গতি আরও বেশি। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই গতি অব্যাহত থাকায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত এক লক্ষ ৬১ হাজার ৭৩৬ জন। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের।