নয়াদিল্লি: বুধবারের বৈঠকের পরই কি ঘোষণা ভোটের নির্ঘন্ট? আগামিকাল গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বসছে নির্বাচন কমিশন। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার রূপরেখা ঠিক হবে যে বৈঠকে।


গতকালই অসমের জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায় ইঙ্গিত ছিল, ৭ মার্চের পর ঘোষণা হতে পারে ভোটের দিনক্ষণ। যে বক্তব্যের জেরে বিতর্কও হয় বিস্তর। বিরোধী শিবির আক্রমণ শানাতে শুরু করে নরেন্দ্র মোদিকে। উনি কি নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকাও পালন করবেন, ধেয়ে আসে এমন কটাক্ষও। এই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।


বুধবার রাতেই শহরে পা রাখছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বৃহস্পতিবার সমস্ত জেলার এসপি এবং ডিএমদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি।


গতকালই পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে আগেভাগে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর রেওয়াজ, যে নিয়ম চলে আসছে ১৯৮০ থেকে। সোমবার এমনই বার্তা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।


নির্বাচন কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানায়, ‘লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিআরপিএফ-দের পাঠানো হয়ে থাকে। কোন কোন জায়গাগুলি স্পর্শকাতর তা আগেভাগে বুঝে নিতেই এই পদক্ষেপ করা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়া চলে আসছে ১৯৮০ সাল থেকেই। ২০১৯ সালে গত লোকসভা ভোটের আগেও বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আগেভাগেই পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। আর শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, বিধানসভা ভোট হতে চলা অপর তিন রাজ্য কেরল, অসম, তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরীতেও আগেভাগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে।’