নয়া দিল্লি : হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় (Air Force Chopper Crash) প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াত (CDS Bipin Rawat Passed Away)। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ(President Ram Nath Kovind), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাহুল গাঁধী-রা। তবে, ভারতে এর আগেও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক বিশিষ্ট মানুষ। 


এর আগে দুর্ঘটনায় যেসব বিশিষ্টের মৃত্যু হয়েছে- 


জ্ঞানী জৈল সিং : ভারতের সপ্তম রাষ্ট্রপতি। পাঞ্জাবের রোপাড় জেলায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসের ঘটনা।


গোপীনাথ মুণ্ডে : মহারাষ্ট্র বিজেপির ওবিসি মুখ এবং প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। দিল্লিতে এক পথ দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। তিনি পাঁচবারের বিধায়ক ছিলেন। শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। 


ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি : অন্ধ্রপ্রদেশের দুই বারের মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৯ সালে রুদ্রকোণ্ডা পাহাড়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাঁর হেলিকপ্টারের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।


সাহিব সিংহ ভার্মা : দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাহিব সিংহ ভার্মার ২০০৭ সালের জুন মাসে রাজস্থানে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। তখন তাঁর বয়স ৬৪ বছর।


রাজেশ পাইলট : ২০০০ সালের জুন মাসে রাজস্থানে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র দৌসায় এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজেশ পাইলটের। জয়পুরে ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।


মাধবরাও সিন্ধিয়া : একটি প্রাইভেট বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সিনিয়র কংগ্রেস নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়ার। ওই বিমানে থাকা আরও ছয় জনেরও মৃত্যু হয়েছিল। কানপুর থেকে ১৭২ কিলোমিটার দূরে মৈনপুরী জেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনা।


সঞ্জয় গাঁধী : ১৯৮০ সালের জুন মাসে দিল্লিতে এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ইন্দিরা-পুত্রের।


জিএমসি বালাযোগী : ২০০২ সালের ৩ মার্চ লোকসভার দ্বাদশ অধ্যক্ষ জিএমসি বালাযোগীর এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার কৈকালুরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ১৯৯৮ সালে সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন বালাযোগী।


জামিল মাহমুদ : লেফটেন্যান্ট জেনারেল জামিল মাহমুদ, এভিএসএম, এডিসি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল অফিসার ছিলেন। তিনি অক্টোবর ১৯৯২ থেকে মে ১৯৯৩ এর মধ্যে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ ইস্টার্ন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভুটানে এমআই-১৭ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় জেনারেল মাহমুদ তাঁর স্ত্রীর সাথে প্রয়াত হন। সেই সময় তিনি সরকারি সফরে ছিলেন।