কলকাতা : ২০২০-র সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন পাসের পর রাস্তায় নামেন কৃষকরা । হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকদের মিছিল এসে হাজির হয় রাজধানীর দরজায়। কংগ্রেস সহ বিরোধীরাও সরব হয় ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে । আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গোয়ার ভোট। তার আগে, বছরের শেষে এসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করা হয়।
এই ঘোষণার পরই বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। বিলম্বে বোধোদয়, এত কৃষক মৃত্যুর পর কেন চৈতন্য, কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের বক্তব্য , 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং লক্ষ লক্ষ আন্দোলনকারী কৃষকদের উষ্ণ অভিনন্দন, সংযুক্ত মোর্চার নেতৃত্বে কৃষকদের সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলনের বিশাল জয়, মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করলে জয় আসবেই'>
সিপিএম নেতা সৃর্যকান্ত মিশ্র ট্যুইট করেন, ' শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি কৃষক আন্দোলনের শহীদদের।এই জয় সংযুক্ত কৃষক আন্দোলনের। সংযুক্ত কিষান মোর্চা কে অভিনন্দন। আমাদের রাজ্যের আইনে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে কৃষক বিরোধী সংশোধনীগুলিকেও বাতিল করা হোক।'
সিপিএম নেত্রী ঐশী ঘোষ ট্যুইটারে লেখেন, কে বলল সংগ্রাম করে কিছু পাওয়া যায় না? প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এখান থেকে ফিরে যাওয়া উচিত নয়। আমরা যদি একসাথে থাকি তবে আমরা এটি জিতব।
দীপ্সিতা ধরও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন 'সেই সমস্ত কৃষক, শ্রমিকদের, যারা এটি সম্ভব করেছেন। আগামীকাল আমাদের।'
দেশজুড়ে প্রতিবাদের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। গুরু নানকের জন্মদিনে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘোষণা করে মোদির আবেদন, কৃষকরা এবার খেতে ফিরে আসুন। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন সংসদের উভয় কক্ষে পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই রাস্তায় নামেন কৃষকরা। এই ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শুরু করেন রাহুল গান্ধী। দেশের অন্যান্য বিরোধী দলও সরব হয়। হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের মিছিল এসে হাজির হয় রাজধানীর দরজায়।