বেঙ্গালুরু: থানায় সাধারণত চুরি, ডাকাতি, লুঠ, হমকি, মারপিঠ, খুন-জখম ও ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনায় অভিযোগ জানাতে আসেন  লোকজন।  এ ধরনের অভিযোগ নিয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয় লোকজন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিন্তু কখনও কখনও এমন কিছু ঘটনা থানায় আসে, যা শুনে স্তম্ভিত হয়ে পড়তে হয় পুলিশ কর্মীদের। সম্প্রতি কর্ণাটকে এমনই ঘটনা ঘটেছে। একদিন এক ব্যক্তি গুটিসুটি পায়ে থানায় এসে পৌঁছন।  তারপর তিনি যা বলেন, তা শুনে কার্যত থ হয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। ওই ব্যক্তি জানান, তিনি তাঁর গাই গরুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে এসেছেন। কারণ জানতে পেরে মহা ফাঁপরে পড়ে পুলিশ। ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে, গত চার দিন ধরে দুধ দিচ্ছে না তাঁর গরু। এ জন্য তাঁর গরুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে। জেনে নেওয়া যাক, ঘটনার বিস্তারিত এবং পুলিশ কীভাবে ঘটনার নিষ্পত্তি করল।


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকের শিমোগা জেলার সিদলিপুরা গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা কৃষক রামাইয়া কয়েকদিন আহে হোলেহোন্নুর থানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ শুনে কার্যত মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড় হয় থানার পুলিশ কর্মীদের। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিদিনই তিনি তাঁর গরুকে খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু গত চারদিন ধরে এক ফোঁটা দুধ দিচ্ছে না। রামাইয়া পুলিশকে বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১১ টা ও বিকেল চারটে থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত তিনি তাঁর গরুকে খাওয়ান। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া করার পরও গরুটি দুধ দিচ্ছে না। এটা  কী খুবই অন্যায় নয়! তাই গরুকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে বুঝিয়ে সুঝিয়ে দুধ দিতে রাজি করতে পুলিশের কাছে আর্জিও জানান তিনি। 


অভিযোগ শুনে অবাক হলেও পুলিশ কর্মীরা মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শোনেন। তারপর ওই কৃষককে বোঝান যে, পুলিশ এ ধরনের মামলার নিষ্পত্তি করে না, মামলাও দায়ের হয় না। রামাইয়া যাতে নিজেই তাঁর সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন, তা বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠায় পুলিশ।