নয়াদিল্লি: আর্থিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে আজ বিকেল সাড়ে চারটেয় সাংবাদিক বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করা হবে। তার আগে আজ অর্থমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
গত দু’বছরে করোনার জেরে অর্থনীতি প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আর্থিক অবস্থা ফেরানোর জন্য বিভিন্ন পন্থার কথা ঘোষণা করেছিলেন। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্টিমুলাস প্যাকেজের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনার টিকা উৎপাদন, কৃষি, বনসৃজন, মৎস্যচাষ, শিল্প, পরিষেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করা হয়।
এবারও করোনা আবহে অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, আর্থিক ঘাটতি মেটানো, বিলগ্নীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গাড়ির উপর জিএসটি কমানো, কৃষিক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৮ লক্ষ কোটি টাকা করার উপর জোর দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, এ বছর কেন্দ্রীয় সরকারের জিডিপি-তে সরকারের লক্ষ্য ৬.৮ শতাংশ পূরণ করার চেষ্টা করা উচিত। ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ঘাটতি কমিয়ে ৪.৫ শতাংশে নিয়ে আসার চেষ্টাও করা উচিত। এলআইসি, বিপিসিএল, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাগুলির বিলগ্নীকরণের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। শহর ও গ্রামাঞ্চলে সামাজিক ও কাঠামোগত পরিকাঠামো তৈরি করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
বণিকসভাগুলির কর্তাদের মতে, এবারের বাজেটে গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রেও নজর দেওয়া উচিত সরকারের। বিশেষ করে বিজ্ঞানের উপর যখন জোর দিচ্ছে সরকার, তখন গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা উচিত। গবেষণা ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কীভাবে গবেষণা ও উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করা যায়, সে বিষয়েও সরকারের পরিকল্পনা করা উচিত।
এই পরিস্থিতিতে আজ অর্থমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে বণিকসভা ও শিল্প-বাণিজ্য মহল।