দেহরাদূণ: কারচুপি থেকে ভোটযন্ত্রে কারসাজি, নির্বাচন ঘিরে অভিযোগের শেষ নেই। নির্বাচন যত এগিয়ে আসে, ততই বাড়তে থাকে রাজনৈতিক আকচাআকচি। কিন্তু সে সবে পড়তে চান না শ্যামসরণ নেগি (Shyam Saran Negi)। বরং স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার, ১০৬ বছর বয়সে আজও নাগরিক হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসছেন তিনি। এখন বুথে গিয়ে, লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার যাওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই হিমাচল প্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের (Himachal Pradesh Assembly Elections 2022) আগে, বুধবার নিজের বাড়িতেই পোস্টাল ব্যালট মারফত ভোট দিলেন শ্যামসরণ।


স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার শ্যামসরণ নেগি


এই বয়সেও ভোট দেওয়ার এত আগ্রহ কেন, জানতে চাইলে শ্যামসরণ বলেন, “গণতন্ত্রের উৎসবে সকলের যোগ দেওয়া উচিত। নাগরিক হিসেবে ভোটদান শুধুমাত্র অধিকার নয় আমাদের, দেশের প্রতি কর্তব্যও।”বুধবার, কিন্নৌর জেলার কল্পায়, নিজের বাড়িতেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেন শ্যামসরণ।



আরও পড়ুন: Bank Rule Change: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ও সিম কার্ড তোলার ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি, আসছে নতুন নিয়ম


১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর, ১৯৫১ সালের ২৫ অক্টোবর প্রথম গণ নির্বাচন হয়। সে বার দেশের অন্য সব রাজ্যের আগে হিমাচলপ্রদেশেই ভোটগ্রহণ হয়। আর সেখানে দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে ভোটদান করেছিলেন শ্য়ামসরণ। তার পর ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের অন্যত্রও ভোটগ্রহণ  হয়। সেই সময় পোলিং টিমের সদস্য ছিলেন শ্যামসরণ নিজে। দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে শনথোং পোলিং স্টেশনে ভোটদান করেছিলেন। ১০ দিনের ট্রেক করে ওই পোলিং বুথে পৌঁছতে হয়েছিল বলে জানান শ্যামসরণ।


আগামী ১২ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন হিমাচল প্রদেশে


বিগত কয়েক দশকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তনও দেখেছেন শ্যামসরণ। কাগজে ছাপ দেওয়া থেকে শুরু করে ভিভিপ্যাট, ইভিএম, সব কিছু সাক্ষী তিনি। এ যাবৎ একটি নির্বাচনেও ভোট দেওয়া বাদ দেননি শ্যামসরণ, সে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক বা বিধানসভা নির্বাচন, অথবা লোকসভা নির্বাচন। বুথে গিয়েই ভোট দেওয়া পছন্দ শ্যামসরণের। কিন্তু শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, বাড়ির লোকজনই যেতে দেননি। তাই বাড়িতেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিলেন। আগামী ১২ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন হিমাচল প্রদেশে। ভোটগণনা ৮ ডিসেম্বর।