চেন্নাই: পাঁচ দিন ব্যাপী গণেশ চতুর্থী উদযাপনের প্রাক্কালে রবিবার বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করল কর্ণাটক সরকার। নির্দেশিকা অনুযায়ী গণেশ চতুর্থী উদযাপন ও মূর্তি বিসর্জনের ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। এছাড়া যেসব জেলায় ২ শতাংশের বেশি করোনা পজিটিভিটি রেট সেসব জায়গায় কোনও অনুষ্ঠান বা জমায়েত করা যাবে না বলেও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে কর্ণাটক সরকার।


এএনআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্ণাটক সরকারের নির্দেশিকায় পরিষ্কার লেখা রয়েছে, 'গণেশ পুজোয় এবং মূর্তি বিসর্জনে ২০ জনের বেশি থাকতে পারবেন না। রাত ৯টার পর কোনও অনুষ্ঠান বা উদযাপন চলবে না। উৎসব চলাকালীনও নৈশ কার্ফু চালু থাকবে।'


কর্ণাটক সরকার যে কোনও রকমের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে এবং শুধুমাত্র পরিবেশ-বান্ধব মূর্তিই পুজো করার অনুমতি দিয়েছে। পুজোর খাবার ও প্রসাদ বিতরণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এছাড়া ২ শতাংশের বেশি করোনা পজিটিভিটি রেট যেসব জেলায় সেখানে কোনও রকমের উদযাপন করারই অনুমতি নেই বলে জানানো হয়েছে। 


রবিবার ক্যাবিনেটের সঙ্গে গণেশ চতুর্থীতে বিধিনিষেধের ছাড় সংক্রান্ত বৈঠকের পরে এই নির্দেশিকা জারি করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। দলের অন্দরে উৎসবের দিনগুলিতে ছাড় দেওয়ার দাবি উঠলেও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে বলেন এতে করোনা ছড়াতে পারে। 


এই বছরে ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে গণেশ চতুর্থী উৎসব। ফি বছর দেশে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী উৎসব। এমনিতে ১১ দিনের এই উৎসব ২১ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এই দিনে ভগবান গণেশের পুজো করা হয়। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী উৎসব। এই উৎসবে গৃহস্থের বাড়িতে গণেশের মূর্তি নিয়ে এসে পুজো করা হয়।


গণেশ চতুর্থীর শেষ দিনকে বলা হয়, 'অনন্ত চতুর্দশী'। ওই দিন ভক্তরা গণেশের কাছে প্রার্থনা করেন, আগামী বছর যেন আবার তিনি ফিরে আসেন। অনেকে এই উৎসবটিকে দুই দিনের জন্য উদযাপন করেন। কেউ কেউ এটি পুরো দশ দিন ধরে উদযাপন করেন। একে গণেশ মহোৎসব বলা হয়।