নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারী (Corona Pandemic) পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে আসতেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিধিনিষেধ মেনেই পুনরায় খুলতে শুরু করেছে স্কুলগুলি। যদিও বিশেষজ্ঞদের কথা মতো আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third wave)। আর এতেই আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের গলায় সন্তানদের জন্য আশঙ্কা স্পষ্ট।


এই অতিমারী পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্কুল পাঠানোর সময়ে তাঁদের মনে বেশ কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে। যদিও বাচ্চাদের সেভাবে করোনা আক্রান্ত করতে পারছে না তবুও তাঁদের স্বাস্থ্য বা সুরক্ষার ব্যাপারে নজর রাখতেই হয়। সেই কারণেই কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। অভিভাবকদের জন্য রইল কিছু টিপস।


কারও সন্তানের যদি স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা থাকে, তাহলে কী করা উচিত?


বিগত কয়েক মাস ধরে একটানা বাড়িতে অনলাইনে পড়াশোনা করে এখন পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে অনীহা বোধ করতে পারে। তাই প্রথমত, সন্তানের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। কী কারণে তারা চিন্তিত জানার চেষ্টা করুন, তাদের বোঝান যে এমন পরিস্থিতিতে ভয় পাওয়া খুব স্বাভাবিক। স্কুলে বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন যেমন মাস্ক পরে থাকা বা শিক্ষক-বন্ধুদের থেকে দূরত্ববিধি মেনে চলা ইত্যাদি স্বাভাবিক, সেটা সন্তানদের বোঝান। এই সমস্ত বিধি মেনে চললে তারা সুস্থ থাকবে সেটাও ওদের বোঝানো প্রয়োজন। বারবার হাত ধোয়া বা স্যানিটাউজ করা তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, সেটাও বোঝান তাদের।


সন্তান স্কুল যেতে শুরু করে দিলে কী কী বিধিনিষেধ মেনে চলা উচিত?


অতিমারীতে প্রত্যেকদিনের জীবনযাপনে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়তে পারে শিশুরাও। আপনার সন্তান স্কুল যেতে শুরু করলে তার স্বাস্থ্য, পড়াশোনা, মানসিক স্বাস্থ্য, আচার-আচরণের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। তার কোনও স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটির সমস্যা হচ্ছে কি না সেই খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ধরুন, দুঃখ, রাগ, মনোযোগের সমস্যা, খেলায় অনীহা বা হোমওয়ার্ক করতে অনীহা হচ্ছে কি না দেখতে হবে। এমন ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে সন্তানের পাশে থাকুন। তার সঙ্গে মনের কথা শেয়ার করুন।


একটানা লকডাউনে সন্তানের ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন হয়েছে, কী করা যায়?


লাগাতার লকডাউন ও অনলাইন পড়াশোনার ফলে সন্তানের ঘুমের অভ্যাসে বদল হওয়া খুব স্বাভাবিক। এর ফলে স্কুলের নিয়মিত রুটিনে ফিরতে সমস্যা হতে পারে। প্রয়োজনীয় সময়ে সন্তানকে জাগিয়ে রাখার অভ্যাস করান। সকালের দিকে তাকে ঘুমোতে দেবেন না। স্কুলের যাওয়ার আগের সন্ধ্যায় শিশুদের রিল্যাক্সড রাখার চেষ্টা করুন।