মুম্বই: খুব শীঘ্রই এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে মুকেশ অম্বানিকে সিংহাসনচ্যূত করতে পারেন গৌতম আদানি। অন্তত এমন একটা সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। 


বলা হচ্ছে, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের মূল্য যদি এভাবেই বাড়তে থাকে, তাহলে, অদূর ভবিষ্যতে মুকেশ অম্বানিকে টপকে শুধু দেশের নয়, একেবারে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হতে পারেন গৌতম আদানি।


বুধবারের হিসেব অনুযায়ী, ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্সে বিশ্বে ১৫তম স্থানে রয়েছেন আদানি। তাঁর সম্পত্তির মোট মূল্য ৬৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ঠিক তার ওরপেই রয়েছেন অম্বানি। তাঁর সম্পত্তির মোট মূল্য ৭৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


বর্তমানে, এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হলেন রিলায়েন্স কর্ণধার। কিন্তু, বিগত ১ বছরে আদানি গোষ্ঠীর উল্কার মতো উত্থান হয়েছে। বিশেষ করে, কোভিড-১৯ অতিমারী কালে, আদানি গোষ্ঠীর প্রায় সবকটি সংস্থার শেয়ার ফুলেফেঁপে উঠেছে। 


২০২০ সালের মে মাস থেকে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার মূল্য ৮০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি ৭০০ শতাংশ, আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি ১১০০ শতাংশ, আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি ৪০০ শতাংশ, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোন লিমিটেডের শেয়ার মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ দ্বিগুণ এবং আদানি পাওয়ারের শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণ। 


২০২১ সালের গোড়া থেকে এই প্রথম পাঁচ মাসে গৌতম আদানির সম্পত্তি দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, চলতি বছর ৯৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান হয়েছে মুকেশ অম্বানির। 


চলতি বছর বিশ্বে আদানির চেয়ে বেশি সম্পত্তি করেছেন একজনই। তিনি ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আরনোল। তিনি বিশ্বের সর্ববৃহৎ লাক্সারি পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা মোয়ে এনসি লুই ভুইতোঁর চেয়ারম্যান। 


আদানির এই প্রতিপত্তি এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন দেশ অতিমারীর ধাক্কায় জর্জরিত। কোভিড-১৯ এর ফলে, ভারতীয়রা ৬৬ হাজার কোটি টাকার খুইয়েছেন। কারণ,এই করোনাকালে চিকিৎসা বাবদ খরচ ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ওপর রয়েছে সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি, আয় হ্রাস পাওয়া। 


পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল মাসেই বেকারত্বের হার ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭০ লক্ষ চাকরি ছাঁটাই ঘটেছে এইমাসে, যা গত চার মাসের নিরিখে সর্বাধিক। এছাড়া, পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০.৫ শতাংশ। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য যথাক্রমে বেড়েছে ২০.৬ ও ২২.৫ শতাংশ।