নয়াদিল্লি: উঠতে বসতে দলকে পুনরুজ্জীবিত কথা বলতে শোনা যায় নেতাদের। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই সঙ্কট গাঢ় হচ্ছে কংগ্রেসের (Congress)। এ বার জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। মঙ্গলবারই উপত্যকায় দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। তার কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, জম্মু ও কাশ্মীরে দলের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন আজাদ। দলের প্রতি তিনি অসন্তুষ্ট, ক্ষুব্ধ বলে শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। তার মধ্যেই এমন পদক্ষেপ আজাদের।
জম্মু ও কাশ্মীরে সঙ্কট আরও বাড়ল কংগ্রেসের
আগে থেকেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় রাজনৈতিক কমিটির সদস্য আজাদ। কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতা তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ ছিলেন। কংগ্রেসেও গুরুত্বপূর্ণ পদে এ যাবৎ দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু নেতৃত্ব বদল এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে দলের সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। এমনকি কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে যে 'জি-২৩' গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল, তাতেও শামিল ছিলেন। দলে সাংগঠনিক রদবদলের আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধীকে। তার মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক কমিটিতে শামিল করা হয়। কিন্তু সূত্রের খবর, দলের এই সিদ্ধান্তে গুরুত্ব কমে গিয়েছে বলেই মনে হয় আজাদের। তাই ইস্তফা দেন তিনি।
গোলাম আহমেদ মীরকে উপত্যকা প্রদেশ কমিটির মাথা থেকে সরানোর পরই আজাদকে উপত্যকার কমিটিতে শামিল করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। মীর এবং আজাদ পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। গত মাসেই সরে গিয়েছেন মীর। বিধানসভা নির্বিচনের আগে উপত্যকায় নতুন করে দলকে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছিল কংগ্রেসও। তার জন্য সম্প্রতি মীরের জায়গায় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয় ভিকর রসুল ওয়ানিকে। সনিয়া নিজে প্রচার কমিটি, রাজনৈতিক কমিটি, কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ইস্তেহার কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটি, নির্বাচন কমিটি গঠেন করেন পৃথক ভাবে। কিন্তু তাতেও অচলাবস্থা দূর হল না। বরং বিদ্রোহের আগুনের ইঙ্গিতই মিলছে সেখানে।
পুনর্বিন্যাসের কাজ সম্পূর্ণ হলেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে। তার আগে ইলেক্টোরাল রোলও চূড়ান্ত করতে হবে। তবে এ বছর নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। কেন্দ্রের তরফে এখনও এ নিয়ে কিছু জানানো না হলেও, আগামী বছর উপত্যকায় নির্বাচন হতে পারে।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে উপত্যকায়
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল উপত্যকায় গিয়েছিলেন। তার পর যদিও ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন পরিবর্তন করা হয়। আগামী ২৫ নভেম্বর ভোটার তালিকা প্রকাশ হতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। পুনর্বিন্যাসের পর এই প্রথম উপত্যকার ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।