গোয়া: গোয়ার বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন খোদ প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তিনি বর্তমানে মেঘালয়ের রাজ্যপাল পদে রয়েছেন।  তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়ার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস।  সেইসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করা উচিত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্তের। বর্তমানে মেঘালয়ের রাজ্যপাল পদে আসীন সত্যপাল মালিক বলেছেন, দুর্নীতির পর্দাফাঁস করার পরই গোয়ার রাজ্যপালের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, দুর্নীতিতে যুক্তরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেছিলেন যে, এমন কোনও ঘটনাই নেই। 


প্রাক্তন রাজ্যপালের এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে গোয়ার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ট্যুইট করে বলেছেন,  (বিজেপি কর্তৃক নিযুক্ত) রাজ্যপাল, বর্তমানে মেঘালয়ের রাজ্যপাল বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এবং গোয়া সরকার ও গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দুর্নীতির পর্দাফাস করেছেন। তৃণমূল আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ও সুপ্রিম কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে   বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। 


গোয়া তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোমবার ‘বিজেপি সরকারের অপশাসনের ফলে গোয়ার মানুষের দুর্দশা’র উল্লেখ করে একটি ‘পিপলস চার্জশিট’ জারি করেছে। তৃণমূলের জাতীয় সহ সভাপতি লুইজিনহো ফালেইরো বলেছেন, বেড়াল ঝুলির বাইরে বেরিয়ে পড়েছে। আজ আমরা গোয়া সরকারের বিরুদ্ধে পিপলস চার্জশিট জারি করেছিল এবং এক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোভিড-১৯ অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রাজ্য সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আজ সত্যপাল মালিক যা বলেছেন, তা আমাদের দাবিই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। 


ত্রিপুরার পর তৃণমূলের নজরে গোয়া।গোয়ায় যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বাংলার বাইরে এই দু’টি রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে বিশেষ নজর দিয়েছে তৃণমূল। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার গোয়া যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী।তার আগে  গত রবিবার বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে গোয়া গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বাবুল বলেছিলেন, 
দিদি দায়িত্ব দিয়েছেন। গোয়া আমার পরিচিত জায়গা। সেখানে বহু গানের প্রোগ্রাম করেছি। তবে পলিটিক্যাল অ্যাসাইনমেন্ট কখনও করিনি, গতবছর, তার আগের বছর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওপেনিং করেছিলাম। আমার অনুভূতি, গোয়ায় তৃণমূল ভালো ফল করবে। অনেক বড় নেতারা টিএমসি জয়েন করেছেন। দিদিও ২৯ তারিখ যাচ্ছেন। 
গোয়ার রাস্তায় তৃণমূল নেত্রীর ব্যানারের ছবি পোস্ট করে মহারাষ্ট্রের তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে ট্যুইট করেন,হ্যালো গোয়া, সর্বত্র পরিবর্তনের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।
আগামী বছর, ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল। ত্রিপুরার মতোই গোয়াতেও জমি তৈরির চেষ্টা করছে তারা!দলে টানা হচ্ছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধদের।ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার দু’বারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো।