নয়াদিল্লি: লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির (Price Hike) জেরে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। তার মধ্যেই ফের অশনি সঙ্কেত। রোজকার জীবনে ব্যবহৃত আরও ১৪৩টি পণ্যের উপর বাড়ানো হতে পারে পণ্য এবং পরিষেবা কর (Goods and Services Tax/GST)। রাজস্ব বাবদ আয় বাড়াতে জিএসটি পরিষদের (GST Council) তরফে সম্প্রতি এমনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত পণ্যের উপর জিএসটি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই এই মুহূর্তে ১৮ শতাংশ জিএসটি-র আওতায় রয়েছে (GST Rate Hike)।


রোজকার ব্যবহৃত পণ্যের উপর কর বৃদ্ধির প্রস্তাব


জিএসটি পরিষদের তরফে যে সমস্ত পণ্যের উপর জিএসটি বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, গুড়, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, হাতঘড়ি, স্যুটকেস, হাতব্যাগ, সুগন্ধি, ৩২ ইঞ্চির কম দৈর্ঘ্যের রঙিন টিভি, চকোলেট, চিউয়িং গাম, আখরোট, অ্যালকোহল মুক্ত পানীয়, চিনামাটির বেসিন, রোদচশমা, চশমার ফ্রেম, জামা-কাপড়, চামড়ার বেল্ট, ব্যাগ প্রভৃতি।


এই ১৪৩টি পণ্যের মধ্যে ৯২ শতাংশ পণ্যকে ১৮ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশ করের আওতায় নিয়ে আসার পক্ষপাতী জিএসটি পরিষদ। ২০১৯-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সমস্ত পণ্যের উপর করের হার কম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। সেই মতো ২০১৭-র নভেম্বর গুয়াহাটিতে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে সুগন্ধি, চামড়ার জিনিসপত্র, চকোলেট, কোকো পাওডার, প্রসাধনী-সহ বহু পণ্যের উপর করের হার কম রাখা হয়েছিল। ২০১৮-র ডিসেম্বরেও ওই সমস্ত পণ্যের উপর জিএসটি-র হার কম রাখার সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। কিন্তু এ বার সেগুলিকে ১৮ থেকে ২৮ শতাংশ করের আওতায় তুলে আনার পক্ষে সওয়াল করে সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থান নিতে দেখা গেল জিএসটি পরিষদকে।


আরও পড়ুন: Reliance-Future Group Deal: ২৪,৭০০ কোটির চুক্তি বাতিল, ফিউচার গ্রুপের হাত ছাড়ল রিলায়্যান্স


দিল্লি সূত্রে খবর, গুড় এবং পাঁপড়ের মতো খাদ্যপণ্যকে ০ থেকে ৫ শতাংশ করের আওতায় আনা হতে পারে। চামড়ার জিনিসপত্র, হাতঘড়ি, রেজর, সুগন্ধি, আফটার শেভ, ডেন্টাল ফ্লস, চকোলেট, ওয়াফল, কোকো পাওডার, অ্যালকোহল মুক্ত পানীয়, হাতব্যাগ, সেরামিক বেসিন, প্লাইউড দরজা, জানলা, সুইচ, সকেট-সহ বহু পণ্যকে ১৮ থেকে ২৮ শতাংশ করের আওতায় তুলে আনা হতে পারে।


হাতঘড়ি, চামড়ার সামগ্রী, চকোলেট, করবৃদ্ধি হতে পারে শতাধিক পণ্যের


আবার আখরোটের মতো শুকনো খাবারকে ৫ থেকে ১২ শতাংশ করের আওতায় তুলে আনা হতে পারে। কাস্টার্ড পাওডার উঠে আসতে পারে ৫ থেকে ১৮ শতাংশ করের আওতায়। টেবিল এবং রান্নাঘরের কাঠের সামগ্রীর উপর কর ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়ে পারে ১৮ শতাংশ। এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির মতামত জানতে চেয়েছে জিএসটি পরিষদ। তাতে সায় মিললেই ধাপে ধাপে বাড়ানো হতে পারে জিএসটি-র হার। উল্লেখ্য, মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই মার্চ মাসে জিএসটি বাবদ ১.৪২ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তোলে কেন্দ্র, যা ২০২১-এর মার্চের তুলনায় ১৪.৭ শতাংশ বেশি। আবার ২০২০-র মার্চের তুলনায় বেশি ৪৫.৬ শতাংশ।