নয়াদিল্লি: জ্ঞানব্যাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ভিডিও রেকর্ডিংয়ের রিপোর্ট (Gyanvapi Mosque Survey Report) জমা পড়ল বারাণসী কোর্টে। তবে এই মুহূর্তে সেই নিয়ে কোনও রায় দেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবারই সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মসজিদ চত্বরে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা দিয়েছিলেন মসজিদ কমিটি। তার ভিত্তিতেই আপাতত জ্ঞানব্যাপী নিয়ে রায়দানে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। হিন্দুপক্ষের তরফে শুনানিতে স্থগিতাদেশ চাওয়া হলে, শুক্রবার ফের এ নিয়ে আদালত শুনানি করবে। 


বারাণসী আদালতে জমা পড়ল রিপোর্ট


এ দিন বারাণসী আদালতে (Varanasi Court) ভিডিও রেকর্ডিংয়ের রিপোর্ট তিনটি ফোল্ডারের মাধ্যমে বারাণসী আদালতে জমা দেন আদালত নিযুক্ত  কমিশনার বিশাল সিংহ। জ্ঞাবব্যাপী মসজিদ চত্বরে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে আদালতে দ্বারস্থ হন পাঁচ মহিলা আবেদনকারী। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত মসজিদের বাইরের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তির আরাধনা করতে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। মসজিদে হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তি থাকার প্রমাণ পেতে সম্প্রতি ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় সমীক্ষা। 


তাতে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে সম্প্রতি আদালতে দাবি করেন মামলাকারী পক্ষের এক আইনজীবী। নমাজ পড়ার আগে যে পুকুরের জলে শুদ্ধ হন প্রার্থনাকারীরা, তার মধ্যেই শিবলিঙ্গটি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, যে কাঠামো পাওয়া গিয়েছে, তা শিবলিঙ্গ নয়, পুকুরের মধ্যিখানে ফোয়ারার ব্য়বস্থা ছিল একসময়। তারই কাঠামোটিকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: Indian Railways Update: হাওড়া-ব্যান্ডেল, তারকেশ্বর, শিয়ালদহ-ডানকুনি, নৈহাটি, বাতিল মোট ২৬৯ ট্রেন


সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শিবলিঙ্গের রয়েছে বলে দাবি উঠলে, জায়গাটিকে সুরক্ষিত রাখা উচিত। তবে মুসলিমদের নমাজ পড়া বন্ধ করা যাবে না। মসজিদে ভিডিও সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা অজয় প্রতাপ সিংহের দাবি, রাত জেগে সমীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করেছেন তাঁরা। ভিডিও, ছবি সব জড়ো করে জমা দিয়েছেন শীর্ষ আদালতে। তিনি বলেন, "আদালত আমাদের গুরুদায়িত্ব দিয়েছিল। প্রচণ্ড গরমে, মসজিদের বেসমেন্টের নোংরা পরিবেশে সৎভাবে, তা পালন করেছি আমরা। অসঙ্গতি থাকার প্রশ্নই নেই।"



ভিডিও সমীক্ষা নিয়েও বিতর্ক


এর আগে, মঙ্গলবার ভিডিও সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করে বারাণসী আদালত। তিনি যে ব্যক্তিগত চিত্রগ্রাহক নিয়ুক্ত করেছিলেন, তাঁর মাধ্যমে সমীক্ষার তথ্য ফাঁস হয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর জায়গায় আনা হয় অজয় প্রতাপকে।