গুয়াহাটি: অসমে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন তুলকালাম পরিস্থিতি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ঘিরে বিতর্ক। তাঁর স্ত্রীর সংস্থাকে অন্যায় ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ১০ কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। সেই নিয়েই তেতে উঠল বিধানসভার অধিবেশন। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার প্রস্তাব তোলেন বিরোধী শিবিরের বিধায়করা। কিন্তু তাতে রাজি হননি স্পিকার (Assam News)। তাতেই তুলকালাম বাধে। অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধী শিবিরের বিধায়করা। (Himanta Biswa Sarma)


বৃহস্পতিবার অসম বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করে কংগ্রেস। অধিবেশনের বাকি আলোচনা থামিয়ে, বিষয়টি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের দাবি জানায় তারা। কিন্তু স্পিকার বিশ্বজিৎ দইমারি তাতে রাজি হননি। বরং প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে ওই নোটিস খারিজ করে দেন তিনি। জানান, অর্ডারে নেই, তাই সেই নিয়ে আলোচনার জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করা হবে না।


এর পরই পরিস্থিতি তেতে উঠতে শুরু করে। স্পিকারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানান বিরোধী শিবিরের বিধায়করা। কংগ্রেস, একজন সিপিআই এবং একজন নির্দল বিধায়ক পোস্টার হাতে ওয়েলে নেমে আসেন। সরকার বিরোধী ধ্বনি তুলতে শুরু করেন।তাতে ১৫ মিনিটের জন্য স্থগিত রাখা হয় অধিবেশন। কিন্তু তার পর অধিবেশন আবার শুরু হলে, নতুন করে ফের হাঙ্গামা শুরু হয়। আলোচনার দাবি জানান বিরোধী শিবিরের বিধায়করা। তার জন্য ফের ১০ মিনিট স্থগিত হয়ে যায় অধিবেশন। ফের শুরু হলে বিরোধী বিধায়করা ওয়াকআউট করেন।



আরও পড়ুন: DSP Humayun Bhat: কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা তরতাজা ছেলে, ফুল ছোঁয়ালেও বড্ড ভারী ঠেকল কফিন, ভেঙে পড়লেন একদা পুলিশকর্তা বাবা


বুধবার লোকসভায় কংগ্রেসের ডেপুটি নেতা গৌরব গগৈ প্রথম বিষয়টি নিয়ে সরব হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নথি তুলে ধরেন তিনি। সেটি কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের নথি বলে জানান গৌরব। তিনি জানান, হিমন্তের স্ত্রী রিঙ্কি শর্মার সংস্থা প্রাইড ইস্ট এন্টারটেনমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ঋণবাবদ ভর্তুকি হিসেবে ১০ কোটি টাকা পেয়েছে। সেই নিয়ে বিতর্ক হতে শুরু হতে সময় লাগেনি। হিমন্তর দৌলতেই তাঁর স্ত্রীকে অন্যায় ভাবে ওই ভর্তুকি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে।


হিমন্ত যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, 'প্রাইড ইস্ট এন্টারটেনমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড একটি স্বাধীন সংস্থা। ২০০৬ সাল থেকে নানা ক্ষেত্রে যুক্ত রয়েছে। আইন মেনেি চলে এই সংস্থা। সংস্থার অর্থনৈতিক রেকর্ড সকলের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে। তাই অন্য সংস্থার মতো, তারও সরকারি প্রকল্পের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য'।


হিমন্ত আরও লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্পদ প্রকল্পে প্রাইড ইস্ট এন্টারটেনমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড একটি টাকার দাবিও জানায়নি, পায়ওনি। যোগ্য দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও ভর্তুকির আবেদন জানায়নি...কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে চাইলে যে কোনও শাস্তি মাথা পেতে নেব, অন্তরালে চলে যাব'। সোশ্যাল মিডিয়ায় গৌরবের সঙ্গে বাগযুদ্ধও বাঁধে তাঁর।