মুম্বই:  দিদির বয়স মাত্র ১৯। অপরাধ?  বাড়ির অমতে বিয়ে। ' পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ' (Honor Killing)  নিজের ১৯  বছরের দিদি গলা কেটে ফেলল ভাই। সহোদরাকে বিন্দুমাত্র করুণা করা তো দূরে থাক নৃসংশতার চরম নিদর্শন দেখাল নাবালক ভাই। দিদির মাথা কেটে 'শাস্তি' দিল সে। বিবাহিত মেয়েকে খুন  নাবালক ছেলেকে সাহায্য করল মা। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ঔরঙ্গাবাদে ( Aurangabad) । 


স্থানীয়রা জানায়, দিদির মাথা কেটে দেখানোর জন্য বারান্দায় ঝুলিয়েও রাখা হয়। জানা গেছে, ওই মহিলা সন্তানসম্ভবা ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, কাটা মাথার সঙ্গে সেলফিও তোলে মা ও ছেলে। নৃশংস এই ঘটনায় স্তম্ভিত প্রতিবেশীরাও। 


আরও পড়ুন :


নাগাল্যান্ডে গুলিচালনার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির অমতে মাস ছয়েক আগে বিয়ে করেন ওই মহিলা। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন পরিবারের লোকজন। জামাই কোনওরকমে পালান। এরপরই কুপিয়ে খুন করা হয় বধূকে। তিনি যাতে পালাতে না পারেন, তখন নাকি পা চেপে ধরেন তাঁর মা-ই। 


রবিবার এই ভয়ংকর ‘অনার কিলিং’-এর  ঘটনাটি ঘটেছে। পরে থানায় আত্মসমপর্ণ করেন অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, দিদিকে খুন করার পর তাঁর স্বামীকেও আক্রমণ করে ওই হত্যাকারী।  কিন্তু তরুণীর স্বামী পালিয়ে যান। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে আধুনিক ভারতের একাংশের মানসিকতা নিয়ে। শুধু ভাই নয়, যেখানে মেয়েকে খুনে যুক্ত মা-ও। তরুণী সন্তান সম্ভবা ছিলেন, এই বিষয়টি আরও বেদনাদায়ক। 


জানা গিয়েছে, মেয়ের বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে আসার ভান করেন মা। তাদেরকে আতিথেয়তাও করেন মেয়েটি। এরপর রান্নাঘরে যান। সেই সুযোগেই পিছন থেকে আক্রমণ চালায় ভাই। মেয়ে যাতে পালাতে না পারে সেই দিকটা দেখে তার মা ! তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তরুণীর মাথা কেটে ফেলা হয়। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।