নয়াদিল্লি: পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরোবেন IAS অফিসার। তার জন্য সাত তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হত স্টেডিয়াম। মাঝপথ অনুশীলন থামিয়ে বার করে দেওয়া হত খেলোয়াড়দের। বেশ কিছু দিন ধরই চলছিল এই রীতি। কানাঘুষো থেকে বিষয়টি চাউর হতেই 'শাস্তি' পেলেন অভিযুক্ত IAS অফিসার এবং তাঁর IAS স্ত্রী-ও। বদলি করে দিল্লি থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হল তাঁদের। তা-ও আবার পৃথক গন্তব্যে।


IAS দম্পতিকে বদলি করা হল


অভিযুক্ত IAS অফিসারের নাম সঞ্জীব খিরওয়ার। ১৯৯৪ ব্যাচের IAS অফিসার তিনি। স্ত্রী রিঙ্কু ধুগ্গাও IAS অফিসার। সঞ্জীবকে পাঠানো হল লাদাখ। রিঙ্কুকে যেতে হল অরুণাচলপ্রদেশে। যদিও এই 'শাস্তি'র ধরন নিয়েও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকরা। মনোরম পরিবেশে পাঠিয়ে আদতে IAS দম্পতিকে ছুটি কাটাতে পাঠানো হল বলে কটাক্ষ করেছেন তাঁরা। কেন্দ্র যদিও এই বদলির সিদ্ধান্তকে কড়া পদক্ষেপ বলার পক্ষপাতীই।


দিল্লির ত্যাগরাজ স্টেডিয়ামে IAS অফিসার 'দাদাগিরি' চালাচ্ছেন বলে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তাতেই শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। তড়িঘড়ি রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই মতো বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দেন দিল্লির মুখ্যসচিব। তাতে ওই IAS অফিসার যে স্টেডিয়ামের অপব্যবহার করছেন, তা মেনে নেওয়া হয়। রিপোর্ট হাতে পাওয়া মাত্র সন্ধেয় বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অবিলম্বে নির্দিষ্ট গন্তব্যে রওনা দিতে বলা হয় তাঁদের। 



আরও পড়ুন: Geetanjali Shree: আন্তর্জাতিক বুকার জিতলেন গীতাঞ্জলি, ভারতীয় হিসেবে এই প্রথম, সাড়া ফেললেন হিন্দি উপন্যাসেই


সূত্রের খবর, IAS অফিসার যাতে পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরোতে পারেন, তার জন্য সন্ধে ৭টা বাজতেই খালি করে দেওয়া হত স্টেডিয়াম। অনুশীলন বন্ধ করে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হত খেলোয়াড়দের। দীর্ঘদিন ধরেই এমন চলছিল। তা নিয়ে অনুযোগও করছিলেন খেলোয়াড়রা। স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা অজিত চৌধরি যদি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, সন্ধে ৭টা পর্যন্তই স্টেডিয়ামে অনুশীলনের নিয়ম। তার পর খেলোয়াড় এবং কোচ, সকলেই বেরিয়ে যান।  


স্টেডিয়াম খোলার রাখার সময় বাড়ল দিল্লিতে


তবে বৃহস্পতিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তাঁর সরকার পরিচালিত রাজধানীর সব স্টেডিয়াম রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। কেজরিওয়াল জানান, খেলোয়াড়দের অনুযোগ তাঁর কানে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড গরমে দিনের বেলা অনুশীলন করতে গিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকে।  স্টেডিয়াম ৬-৭টা নাগাদ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, রাতেও অনুশীলন করা হয় না তাঁদের। তাই খেলোয়াড়দের সুবিধার জন্যই রাত ১০টা পর্যন্ত স্টেডিয়াম খোলা রাখার সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।