চেন্নাই: ফের IIT পড়ুয়ার আত্মহত্যা হওয়ার ঘটনা (IIT Madras)। এ বারের ঘটনাস্থল IIT মাদ্রাজ। আত্মঘাতী যুবক সেখানে পিএইডি করছিলেন। আদতে তিনি বাংলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার ভেলাচেরির বাড়িতে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি (IIT Madras PHD Student)।
গিন্ডি ক্যাম্পাসের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে গবেষণা করছিলেন আত্মঘাতী যুবক
আত্মঘাতী হওয়া ওই যুবকের নাম সচিনকুমার জৈন। বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। তিনি আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। IIT মাদ্রাজের গিন্ডি ক্যাম্পাসের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে গবেষণা করছিলেন। শুক্রবার সকালে রোজকার মতো ক্লাসও করেন। সন্ধেয় উদ্ধার হয় দেহ। তার আগে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে সচিন লেখেন, ‘দুঃখিত, আমি যথেষ্ট নই।’
IIT মাদ্রাজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে রোজকার মতোই ক্লাস করেন সচিন। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে যান। ফিরে যান ভেলাচেরির বাড়িতে। কাউকে কিছু বলে যাননি সচিন। তাই ঘণ্টাখানেক পরও তিনি ফিরে না আসায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বন্ধু-বান্ধবরা। ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না তাঁর সঙ্গে।
এর পর সরাসরি সচিনের বাড়িতে হাজির হন বন্ধু-বান্ধবরা। সেখানে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সচিনে দেহ ঝুলতে দেখেন সকলে। বাড়ির ডাইনিং স্পেসে গলায় ফাঁস লাগান সচিন। তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছে সচিনকে মৃত ঘোষণা করেন অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে এসে পৌঁছনো এমার্জেন্সি দল।
কোন পরিস্থিতিতে সচিন এমন পদক্ষেপ করলেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভেলাচেরি পুলিশ। সচিনের দেহ তুলে নিয়ে যায় তারা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে সচিনের বাড়িতেও। কোন পরিস্থিতিতে সচিন এমন পদক্ষেপ করলেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত কয়েক মাসে পড়ুয়াদের আত্মঘাতীর হওয়ার এমন একাধিক ঘটনা সামনে এল। এর আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে আইআইটি বম্বের পওয়াই ক্যাম্পাসে এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু হয়। সাততলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ১৮ বছর বয়সি ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী হন বলে জানা যায়। অন্ধ্রপ্রদেশের আইআইটি আরকে ভ্যালিতে ২২ বছরের এক পড়়ুয়ার দেহও উদ্ধার হয়। হস্টেলের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয় অখিলা নামের এক মেয়ের দেহ। মেয়েটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষে পাঠরত ছিলেন। তাঁর বাবা কুয়েতে শ্রমিকের কাজ করেন।
জানুয়ারি মাসে তেলঙ্গানায় এক ১৬ বছরের কিশোর আত্মঘাতী হয়। IIT-র প্রস্তুতি নিতে তেলঙ্গানার শ্রী চৈতন্য জুনিয়র কলেজে পড়ছিল সে। ভোর ৫ট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্লাস কারর পর নিত্যদিন হেনস্থার শিকার হতে হতো বলেও অভিযোগ ওঠে তাতে। তার আগেও পর পর বেশ কয়েক বার পড়ুয়া আত্মঘাতীর হওয়ার খবর উঠে আসে।