নয়া দিল্লি : শরদ পাওয়ারকে (Sharad Pawar) নোটিস পাঠাল আয়কর বিভাগ (Income Tax Department)। ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০২০-র ভোটে জমা দেওয়া হলফনামার ভিত্তিতে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি সুপ্রিমোকে পাঠানো হয়েছে নোটিস। 


ক্ষমতা-বদলের পর্ব মেটার পরের দিনই নোটিস-


মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-কংগ্রেস ও এনসিপি জোটের মহা বিকাশ আঘাড়ী সরকারের পতনের পরের দিনই নোটিস পাঠানো হল বর্ষীয়ান এই রাজনীতিককে। মহারাষ্ট্রের ২০ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন একনাথ শিণ্ডে। অন্যদিকে, উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। 


আরও পড়ুন ; ডানা ছাঁটলেন একজনের, ফেরার রাস্তা আটকালেন অন্যজনের, মহারাষ্ট্রে কোন সমীকরণ শাহের!


ক্ষমতা-বদলের এই পর্ব মেটার পরের দিনই আয়কর বিভাগের নোটিস পাওয়া প্রসঙ্গে মারাঠী ভাষায় ট্যুইটারে পাওয়ার লেখেন, এখন ইডি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তার ফলও দেখা যাচ্ছে। বিধানসভার একাধিক সদস্য বলছেন, তাঁরা নোটিস পেয়েছেন। নতুন এই পদ্ধতি শুরু হয়েছে। পাঁচ বছর আগে আমরা ইডি-র নামও জানতাম না। এখন গ্রামে গ্রামে মানুষ মজা করে বলেন, পিছনে ইডি লাগিয়ে দেব।


তিনি আরও লেখেন, ভিন্ন রাজনৈতিক মতামতের মানুষের বিরুদ্ধে এই সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। একইরকম প্রেমপত্র পেয়েছি আয়কর বিভাগ থেকে। ওরা এখন ২০০৪ লোকসভা ভোটের জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য পরীক্ষা করছে। ২০০৯ সালেও লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। ২০১৪ সালে রাজ্যসভার ভোটে দাঁড়াই। ২০২০-র রাজ্যসভা ভোটে জমা দেওয়া হলফনামা নিয়েও এসেছে নোটিস। ভাগ্যক্রমে, এইসব তথ্য আমার কাছে রয়েছে।


প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়া একনাথ শিণ্ডে  (Eknath Shinde)। বৃহস্পতিবার রাজভবনে সরকার গঠনের প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন ফড়ণবীস। সংখ্যায় বেশি হয়েও ফড়ণবীস মুখ্যমন্ত্রী পদের লোভ করেননি বলে মন্তব্য করেন শিণ্ডে। কিন্তু কয়েক মিনিট পরেই জানা যায়, ফড়ণবীস মুখ্যমন্ত্রীই হতে চেয়েছিলেন। রাজি হননি বিজেপি নেতৃত্ব। তাই শিণ্ডে সরকারে শামিলও হতে চাননি তিনি। শেষে অমিত শাহের হস্তক্ষেপে বরফ গলে। উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে নিমরাজি হন ফড়ণবীস। কিন্তু দু'সপ্তাহ ব্যাপী নাটকের নেপথ্য নায়ক ফড়ণবীসকে কেন মুখ্যমন্ত্রী করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিস্তর। যদিও এই সিদ্ধান্তের মধ্যে কৌশল দেখছে রাজনৈতিক মহল।