নয়াদিল্লি: ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অষ্টমবার লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লালকেল্লা থেকে অষ্টমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদি।
এদিন প্রথমে রাজঘাটে জাতির জনক মহাত্মা গাঁধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান মোদি। সেখান থেকে তিনি পৌঁছন লালকেল্লায়। লালকেল্লায় তাঁকে স্বাগত জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অনার দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নেতৃত্বে রয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
প্রধানমন্ত্রীকে পতাকা উত্তোলনে সাহায্য করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার পি প্রিয়ম্বদা সাহু। ২১ বার গান স্যালুটের সঙ্গে বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। এই প্রথম পতাকা উত্তোলনের সময় লালকেল্লায় পুষ্পবৃষ্টি করে বায়ুসেনার এমআই-১৭ কপ্টার।ছড়িয় দেওয়া হয় গোলাপের পাপড়ি।
লালকেল্লার অনুষ্ঠানে উপস্থিত নীরজ চোপড়া, মীরাবাই চানু-সহ দেশের ৩২ জন অলিম্পিক্স পদকজয়ী। হাততালি দিয়ে তাঁদের অভিবাদন জানান প্রধানমন্ত্রী। অতিমারী পরিস্থিতিতে করোনা-যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে এবার লালকেল্লায় তৈরি করা হয় আলাদা এনক্লোজার।
এদিন সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লেখেন, ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, সবাইকে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব দেশবাসীকে নতুন শক্তি দিক। নতুন চেতনার জন্ম হোক। জয় হিন্দ।
গতকাল, দেশভাগের ভয়াবহতাকে স্মরণ করে ১৪ অগাস্ট দিনটিকে বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, দেশভাগের যন্ত্রণা কখনও ভোলা যায় না। আমাদের ভাই ও বোনেরা হিংসা ও বিদ্বেষের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের লড়াই ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ১৪ অগাস্ট দিনটি এবার থেকে বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস পালন করা হবে। এই দিনটি আমাদের সামাজিক বিভাজন দূর করে সম্প্রীতির বার্তা দিক। ঐক্যের মধ্যে যে শক্তি আছে তা মনে করিয়ে দিক এই দিন। ট্যুইটে লেখেন প্রধানমন্ত্রী।