নয়াদিল্লি: কানাডার (Canada)  কট্টরপন্থী শিখ গোষ্ঠীর স্বাধীন ও সার্বভৌম খলিস্তান ( Khalistan ) রাষ্ট্রের দাবিতে গণভোটের আয়োজন নিয়ে আগেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। আবারও এই নিয়ে ভারত উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছে। সেই সঙ্গে কানাডায় স্থিত কোনও গোষ্ঠীর ভারতবিরোধী কার্যকলাপ আটকানোর প্রতি জোর দিয়েছে ভারত। 



ভারতে এই শিখ গোষ্ঠী নিষিদ্ধ।  ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) নামে এই খলিস্তানপন্থী গোষ্ঠী  আগামী ৬ নভেম্বর অন্টারিওতে গণভোট করবে। সেই সঙ্গে জমায়েতেরও ডাক দিয়েছে। ভারত কানাডা সরকারের কাছে ওই গোষ্ঠীকে আইন করে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করার আর্জি জানিয়েছে। 

কানাডায়  খলিস্তানপন্থীদের গণভোটের বিষয়ে  ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের (এমইএ) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমি মনে করি আমরা কয়েকবার আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। ” তিনি আরও জানান, কানাডা সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে তারা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে এবং কানাডায় দুটি অংশে অনুষ্ঠিত হওয়া এই তথাকথিত গণভোটকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।

কানাডার মাটি ব্যবহার করে ভারতের অখণ্ডতাকে নষ্ট করার চেষ্টা শুরু করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, এমনটাই মনে করে ভারত সরকার। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে আগেই একটি কূটনৈতিক সতর্কবার্তা (ডিমার্শ) পাঠানো হয়। অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, “এখানে কানাডিয়ান হাইকমিশনার এবং তাদের উপ বিদেশমন্ত্রী এই সপ্তাহের শুরুতে পৃথক বিবৃতিতে এই দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যাইহোক, আমি পূর্বে যা বলেছিলাম তা আবারও বলছি,  আমরা এই ঘটনাটিকে গভীরভাবে আপত্তিকর বলে মনে করি । চরমপন্থী মনোভাবাপন্নদের দ্বারা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই কাজকর্ম যদি বন্ধু-দেশে সংগটিত হতে দেওয়া হয়,তা অত্যন্ত আপত্তিকর বলে আমি মনে করি এবং আপনারা সকলেই এদের হিংসার ইতিহাস সম্পর্কে অবগত । "

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এসএফজে-কে ‘আন’ল’ফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ (ইউএপিএ)-এর আওতায় ২০১৯ সালের জুলাই মাসে  নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার।