নয়াদিল্লি: দেশে করোনায় (India Corona) ফের কমল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ (Covid-19)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Union Health Ministry) মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৯০ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯০ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৩৬। পাশাপাশি বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ লক্ষ ৬ হাজার ৪৫৪ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ কোটি ২০ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৮৩।
উল্লেখ্য কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কমেছে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫১১ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৭১৫ জন।
এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১২ জন। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা। কলকাতায় একদিনে ১৬৩জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। অন্যদিকে, উঃ ২৪ পরগনায় একদিনে করোনায় ৪জনের মৃত্যু হয়েছে। যা রাজ্যের মধ্যে কোনও জেলায় সর্বাধিক। এই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছে ৯৫ জন। অন্যদিকে নদিয়ায় একদিনে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৯জন সংক্রমিত।
এর মধ্য়েই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণের ঝুঁকি বিচার করে আরও দুটি দেশকে হাই রিস্ক তালিকায় রাখা হল। ওই দুটি দেশ হল বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং সিঙ্গাপুর (Singapur)। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২টি দেশকে হাই রিস্ক তালিকায় রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, তালিকায় থাকা দেশ থেকে কেউ ভারতে এলেই বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করা হবে।
রিপোর্ট পজিটিভ এলে ভর্তি করা হবে হাসপাতালে। নমুনা পাঠানো হবে জিন বিশ্লেষণের জন্য। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে সাতদিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ৭ দিন পর ফের কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। তারপর রিপোর্ট নেগেটিভ এলে বেরনো যাবে। হাই রিস্ক তালিকার বাইরের দেশগুলি থেকে যাঁরা ভারতে আসবেন, তাঁদের মধ্যে ৫ শতাংশের র্যান্ডম করোনা পরীক্ষা করানো হবে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ বারের বেশি চরিত্র বদলানো মারণ ভাইরাসের নতুন প্রজাতি এদেশেও তাণ্ডব চালাবে কিনা, তা নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা। এমন একটা আবহে এরাজ্যে সামনে এসেছে একটি উদ্বেগের তথ্য। প্রশাসন সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এখনও করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেননি দেড় লক্ষের বেশি মানুষ।