নয়াদিল্লি: দেশে করোনা-গ্রাফের (Covid Graph) ওঠানামা চলছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের (Covid Patient) সংখ্যা ফের আড়াই হাজারের পার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬২৮ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১২৪।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু (Corona Death) হয়েছে ১৮ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৫২৫ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮২০। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬২ লক্ষ ৮২ হাজার ৭১৩ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ কোটি ৭২ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৮১।
গতকালের পরিসংখ্যান: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। অ্যাক্টিভ কেসের হার ০.০৩ শতাংশ। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ০.৪৬ শতাংশ। একদিনে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৯৭৭ জন।
রাজ্য়ে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সমীক্ষা: স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সমীক্ষা। অদৃশ্য এক শত্রুর সঙ্গে চলছে মরণপণ লড়াই। রাজ্যে করোনা (Corona) বিধি শিথিল হয়েছে, কিন্তু পুরোপুরি কমেনি কোভিডের প্রকোপ। কিন্তু আমাদের মধ্যেই ঘুরে বড়াচ্ছে না তো কোনও উপসর্গহীন কোভিড আক্রান্ত? যার জেরে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ? তা শনাক্ত করতেই একটি বিশেষ সমীক্ষা চালাল স্বাস্থ্য দফতর। করোনা ছাড়া অন্য কোনও অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এমন রোগীদের তৎক্ষণাত RTPCR টেস্ট করা হয়।
কী জানা গেল সমীক্ষায়? রাজ্যের ২৮টি স্বাস্থ্য জেলার ২৮টি হাসপাতালে হয় এই পরীক্ষা। ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রথম দফায় ১০ হাজার ৭১০ জনের স্যাম্পল টেস্ট হয়। দ্বিতীয় দফায়, ১৮ থেকে ২০ মে’র মধ্যে ১০ হাজার ৯৭৫ জনের টেস্ট হয়। দুটি ক্ষেত্রেই ১৯ জন করে রোগীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রথম সমীক্ষায় পজিটিভিটি রেট ০.১৮ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় ০.১৭ শতাংশ। বেশ কিছু স্বাস্থ্য জেলায় পজিটিভিটি রেট শূন্য। তারমধ্যে রয়েছে, কলকাতা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, রামপুরহাট, সিউড়ি, বারাসাত, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও হুগলি স্বাস্থ্য জেলা। তবে, পজিটিভিটি রেট সবথেকে বেশি নন্দীগ্রামে, এরপরই রয়েছে বসিরহাট, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর।