নয়া দিল্লি: তালিবানের সঙ্গে ভারতের প্রথম বৈঠক। দোহাতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তলের সঙ্গে তালিবানের বৈঠক হয়। বিদেশ নীতি, তালিবান সরকারের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি, আটকে থাকা ভারতীয়দের পুনরুদ্ধার নিয়েও কথা হয় বলে খবর। প্রথমবার সরকারিভাবে ভারতের সঙ্গে বৈঠক হল তালিবানদের।
সূত্রের খবর, তালিবানের অনুরোধে দোহাতে ভারতীয় দূতাবাসে দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। আফগান নাগরিক বিশেষত সংখ্যালঘু যাঁরা ভারতে আসতে চান সেই প্রসঙ্গও আলোচনায় উঠেছে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা আর দ্রুত প্রত্যাবর্তনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাস বলেন, “রাষ্ট্রদূত যে তালিবানের সঙ্গে কথা বলেছেন, সেটা একটা ভালো ব্যাপার। যোগাযোগ বন্ধ করা একেবারেই উচিত নয়। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কে যোগাযোগ খুবই জরুরী। আমরা যোগাযোগ বন্ধ করলে সবচেয়ে লাভবান হবে পাকিস্তান। ভারতীয়দের ফেরত আনাই প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত।“
এদিকে, কাবুল বিমানবন্দরে রাডার অকেজো থাকায় আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল আফগানিস্তানে আটক ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, কাবুল ছাড়ার আগে মার্কিন সেনা বহু বিমান ও সামরিক সরঞ্জাম অকেজো করে দিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেম।
এর ফলে বিমান ওঠানামা পুরোপুরি বন্ধ। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাডার কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। রাডার চালু না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বাণিজ্যিক উড়ান চলাচল। অন্যদিকে, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়লেও, প্রয়োজনে সেখানে ফের ড্রোন হামলা চালানো হবে। আইএস খোরাসানকে হুঁশিয়ারি দিল পেন্টাগন।
এদিকে, তালিবান কবে সরকার গঠন করবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে জল্পনা চলছে, আফগানিস্তানে সরকার গঠনে ইরানের মডেল অনুসরণ করতে পারে তালিবান। সেক্ষেত্রে সর্বেসর্বা হবেন সুপ্রিম লিডার। সেই পদে দেখা যেতে পারে তালিবান প্রধান হিবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদাকে। প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন আবদুল গনি বরাদর কিংবা মোল্লা ইয়াকুব।