আগরতলা: ত্রিপুরায় বিজেপিতে ভাঙনের জল্পনা বাড়ালেন সুদীপ রায় বর্মন।
গতকাল ত্রিপুরার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুদীপ রায় বর্মন। বললেন, ‘এই নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। বিপ্লবের নীতির সঙ্গে মেলাতে পারছি না।’
বিজেপিতে ভাঙনের জল্পনা বাড়িয়ে ফের বিস্ফোরক সুদীপ। বললেন, ‘মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল, প্রত্যাখ্যান করেছি।’ যদিও, গেরুয়া শিবির ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা সেই নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েই চলেছে সুদীপের। এর আগে সোমবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে গরহাজির ছিলেন তিনি।
রবিবার ত্রিপুরার বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিপ্লব দেব। কিন্তু সোমবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দেখাই যায়নি বিপ্লব দেবের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে।
আগরতলায় দলের সব বিধায়কদের বৈঠকে ডেকেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। ছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সাইকিয়া, রাজ্য বিজেপি সভাপতি মানিক সাহা-সহ শীর্ষ নেতারা।
এই পরিস্থিতিতে পার্টি অফিসেও গিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে দেখা যায়নি তাঁকে। সূত্রের খবর, দলের রাজ্য সদর দফতরে মিনিট পাঁচেক থেকেই বেরিয়ে যান তিনি। যদিও দলের দাবি, শারীরিক অসুবিধা চলে গিয়েছিলেন সুদীপ।
যদিও বৈঠকের পর ত্রিপুরা বিজেপির অন্দরের ফাটল-জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সাইকিয়া বলেন, তৃণমূল নিয়ে আলোচনা হয়েছে আজকের বেঠকে। তবে আগে এখানে জায়গা পায়নি তৃণমূল, এখনও পাবে না।
অন্যদিকে ত্রিপুরায় ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে বাংলার শাসকদল। সোমবার অন্যান্য দল থেকে ৬৯ জন নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন।
তত্পরতা শুরু হয়েছে ত্রিপুরার কংগ্রেস শিবিরেও। দিন কয়েক আগেই পদত্যাগ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস। তাঁর তৃণমূলে যোগদান ঘিরেও জল্পনা তৈরি হয়।