নয়াদিল্লি:  তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে সেরে ফেলা হয়েছে চুক্তি। ডিজিটাল মাধ্যমে নাগরিকদের তথ্য নিরাপদে রাখার প্রযুক্তি নির্মাণে দেওয়া হয়ে গিয়েছে অনুমোদনও। খুব শীঘ্রই এ বার মাইক্রো চিপ বসানো ই-পাসপোর্ট (E-Passport) হাতে পেতে চলেছেন ভারতীয় নাগরিকরা। ঘন ঘন বিদেশযাত্রা করেন যাঁরা, তাঁদের জন্য ই-পাসপোর্ট আশীর্বাদ হয়ে উঠতে চলেছে বলে দাবি কেন্দ্রের। তাদের দাবি, এর ফলে অভিবাসন প্রক্রিয়া আর দীর্ঘায়িত হবে না। কারণ পাসপোর্টে বসানো চিপেই সমস্ত বায়োমেট্রিক তথ্য (Brometric Data) থাকবে।


কেন্দ্রীয় সরকারের পাসপোর্ট সেবা প্রকল্পের (PSP-V2.0) দ্বিতীয় পর্যায়ে ই-পাসপোর্চের বাস্তবা।ন হতে চলেছে। তার জন্য টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেস (Tata Consultancy Services/ TCS)-এর সঙ্গে শুক্রবারই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের। নাগরিকদের তথ্য নিরাপদে সংগ্রহ করে রাখার ইলেকট্রনিক কন্ট্যাক্টলেস ইনলেজ নির্মাণে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া সিকিয়োরিটি প্রেস (ISP) নাসিককে। দেশ জুড়ে বিদেশমন্ত্রকের ৩৬টি দফতর থেকে ই-পাসপোর্ট বিলি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।


ই-পাসপোর্ট সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে—



  • নাগরিকের বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত মাইক্রো চিপ বসানো থাকবে পাসপোর্টে।

  • নাগরিকের তথ্য এতটাই নিরাপদে রাখা হবে, যে তা নিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারবে না।

  • বর্তমানে চালু কাগজের বুকলেট পাসপোর্টের দ্বিতীয় পাতায় এই মাইক্রো চিপ বসানো থাকবে। তার মধ্যেই সব তথ্য থাকবে।

  • প্রত্যেক দেশের জন্য ইউনিক ডিজিটাল সিগনেচার থাকবে। সংশ্লিষ্ট দেশ তা ভেরিফাই করবে।

  • বিদেশযাত্রার জন্য এক জন নাগরিকের যা যা তথ্যের প্রয়োজন, তার সবই মজুত থাকবে ওই চিপের ভিতর।

  • চিপের মধ্যে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তি বসানো থাকবে। ফলে হ্যাকাররা চাইলেও চিপে মজুত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে পারবে না।


আরও পড়ুন: Punjab Poll 2022: দল নয়, মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন মানুষ, সিধু-বোমায় ফের পাঞ্জাবে অস্বস্তিতে কংগ্রেস


২০১৭ সালে প্রথম ই-পাসপোর্টের পরিকল্পনা সামনে আসে। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহারের জন্য ২০ হাজার আধিকারিক এবং কূটনীতিকদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে পাসপোর্ট পরিষেবাকে সম্পূর্ণ রূপেই ডিজিটালে রূপান্তরিত কারর পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। ফলে মোবাইল ফোনেও পাসপোর্ট রাখতে পারবেন নাগরিকরা।



আন্তর্জাতিক অসামরিক উড়ান পরিষেবা (ICAO)-এর গুণমানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই তৈরি হবে ই-পাসপোর্ট। ফলে তা সহজে নষ্ট করা যাবে না। পাসপোর্টের সামেন যে চিপ থাকবে, তাতে আন্তর্জাতিক বৈধতাপ্রাপ্ত বিশেষ লোগো থাকবে, যা শুধুমাত্র ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।