নয়াদিল্লি:  রেলের বেসরকারিকরণ কোনও অবস্থাতেই করা হবে না বলে আশ্বস্ত করলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। যদিও, একইসঙ্গে তিনি জানান, দক্ষ কার্যকারিতার সঙ্গে রেল যাতে কাজ করতে পারে, তার জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে সমর্থন করা উচিত। 


এদিন সংসদে, রেলের আর্থিক অনুদানের দাবি সংক্রান্ত একটি বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গোয়েল দাবি করেন, গত ২ বছরে রেল দুর্ঘটনায় একজন যাত্রীরও মৃত্যু হয়নি। শেষ মৃত্যু হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। এর কারণ, যাত্রী সুরক্ষায় পর্যাপ্ত নজর দিয়েছে রেল। 


তিনি জানান, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র যদি হাতে হাত মিলিয়ে চলতে শুরু করে, তাহলে দেশ বৃদ্ধির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হবে। একইসঙ্গে আরও বেশি কর্মসংস্থান হবে। 


তিনি বলেন, রেলের বেসরকারিকরণ কখনই হবে না। রেল প্রত্যেক ভারতীয়র সম্পত্তি। আর তেমনটাই থাকবে। তিনি আশ্বাস দেন, রেল চিরকাল ভারত সরকারের হাতেই থাকবে। 


গোয়েল জানান, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রেলের বরাদ্দ ছিল ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। সেখানে ২০২১-২২ সালে তা বাড়িয়ে ২.১৫ লক্ষ কোটি টাকা করেছে মোদি সরকার। 


গত বছর অক্টোবর মাসে একগুচ্ছ ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে রেল। 


রেল সূত্রে খবর, ১২০টি রুটে ১৫১টি ট্রেন চালানোর অনুমতি পাবে বেসরকারি সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি-হাওড়া, হাওড়া-মুম্বই, মুম্বই-দিল্লি, দিল্লি-গুয়াহাটি, দিল্লি-চেন্নাই, চেন্নাই-হাওড়া এবং চেন্নাই-মুম্বই রুট। রুটগুলোকে ভাগ করা হয়েছে ১২ টি ক্লাস্টারে হাওড়া ক্লাস্টারে থাকছে ৯ টি রুট।


ওই সব রুটে ট্রেন চালাতে অনলাইনে আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।  শুক্রবার দেশ-বিদেশ মিলিয়ে আইআরসিটিসি, ভেল, এলএনটি সহ মোট ১৫ টি সংস্থার আগ্রহপত্র খোলা হয়। নভেম্বরে ডাকা হয় দরপত্র।


কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা।  যদিও রেল সূত্রে খবর, বেসরকারি ট্রেন চললে বাড়বে বিনিয়োগ, উন্নত হবে পরিষেবা। আসবে ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ।


তবে রেলকর্মী সংগঠনগুলির দাবি, হাতে ট্রেন পেলে ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়াবে বেসরকারি সংস্থা। বাড়তি ভাড়ার চাপে জেরবার হবেন যাত্রীরা।