বেঙ্গালুরু: হিতেশা চন্দ্রানির বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটি থানায় এইআইআর করলেন জোম্যাটোর ডেলিভারি বয়। হিতেশা চন্দ্রানি এর আগে জোম্যাটোর ডেলিভারি বয় কামরাজের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছিলেন। ওই মহিলার বিরুদ্ধে এবার পাল্টা অভিযোগ কামরাজের।
থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন কামরাজ সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, খাবার পৌঁছে দিতে যাওয়ার পর হিতেশা নিমে ওই মহিলা তাঁকে জুতো দিয়ে মারেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটে খাবার পৌঁছে দিয়ে পেমেন্টের জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন। দেরি হওয়ায় ক্ষমাও চেয়েছিলেন ওই মহিলার কাছে। তাও জানিয়েছেন পুলিশকে। তিনি বলেন, আমি ওঁকে জানাই রাস্তায় জ্য়াম তাকায় খাবার দিতে দেরি হল। কিন্তু আমার কোনও কথাই শুনতে চাননি। আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে গিয়ে নিজের নাকেই আঘাত করে বসেন। আমাকে জুতো ছুড়েও মারেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৫, ৫০৪, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? বেঙ্গালুরুর মেক আপ আর্টিস্ট তথা মডেল হিতেশা চন্দ্রানি খাবার অর্ডার করেছিলেন জোম্যটো থেকে। যা আসার কথা ছিল দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ। কিন্তু ওই জোম্যাটো ডেলিভারি বয় যেতে দেরি করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা বেশি সময় লাগে তাঁর। এরপরই গত ১০ মার্চ সোশ্যল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও। হিতেশা চন্দ্রানী নামে এক মহিলাকে সেই ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, খাবার দিতে এসে ঘুষি মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন এক জোম্যাটো ডেলিভারি বয়। তিনি জানান, ওই কর্মীর নাম কামরাজ। ভিডিওতে নাক থেকে রক্ত পড়তেও দেখা যায় ওই মহিলার। এরপরেই বেঙ্গালুরুতে খাবার সরবরাহকারী সংস্থা জোম্যাটোর ডেলিভারি বয় কামরাজকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
কামরাজ দাবি করেন, ওই মহিলা তাঁকে জুতো নিয়ে মারতে এসেছিলেন। জুতোপেটা থেকে বাঁচতে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে থাকেন কামরাজ। তাতে ওই মহিলার হাত ছিটকে গিয়ে নিজের নাকে লাগে। আঙুলে পরা আংটির ধাক্কায় নাক কেটে যায়। ফলে কামরাজ ঘুসি মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন, এই অভিযোগ মিথ্যে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ট্যুইট করে অভিনেতা রোহিত বসু রায় কামরাজ সমর্থন জানিয়েছেন, আমি জানি না জোম্যাটোর কর্মী এবং ওই মহিলার মধ্যে কী ঘটেছিল। তবে ওই যুবক যদি ভাল অভিনেতা হন তবেই মিথ্যে কথা বলবেন। আশা করি তিনি দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। একইভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন পঞ্জাবি অভিনেত্রী কাম্যা তিনি লিখেছেন, আমি মনে করি চোখ কথা বলে। কামরাজ জোম্যাটোর ডেলিভারি বয় সরল এবং উনি ন্যায়বিচার পাবেন। জোম্য়াটো কর্তৃপক্ষ দয়া করে ওঁকে ছাঁটাই করবেন না। দক্ষিণী অভিনেত্রী প্রনীথা সুভাষ ওই মহিলার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, তাহলে খাবার ডেলিভারি দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় আছে, কিন্তু ন্যায়বিচারের নয়, তাই তো? এর আগে এই ঘটনা নিয়ে ট্য়ুইট করেছিলেন পরিণীতি চোপড়া।