মুম্বই :  জ্বলছে ইউক্রেন। সেইআঁচ কি এসে পড়বে ভারতের বাজারেও ? মধ্যবিত্তের হেঁশেলেও কি জ্বলবে আগুন ? ভোজ্য তেলের আমদানি নিয়ে কি হবে তা নিয়ে রাতের ঘুম উড়েছে মধ্যবিত্তের।  এবার কি তবে জ্বালানীর দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এডিবল অয়েলের দামও হু হু করে বাড়বে ?


তবে ইতিমধ্যেই এনিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে ভোজ্য তেলের সঙ্গে যুক্ত শিল্পোদ্যোগীরা। সরকারকে তাঁদের আশ্বাস, আগামী দুমাসে সানফ্লাওয়ার তেলের যোগানে কোনও ঘাটতি হবে না। তবে ইউক্রেন থেকে প্রচুর সানফ্লাওয়ার অয়েল ভারতে আমদানি করা হত।কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেই আমদানির কী হবে?


ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকটের ভয়ে, ভারতীয়রা রান্নাঘরের প্রধান তেল মজুত করা শুরু করেছে।  এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেলের দামও ২০  শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোজ্যতেলে ঘাটতি সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম তথ্য ভাইরাল হচ্ছে। আর এতেই ভয় বাড়ছে মধ্যবিত্তের।  রান্নার তেলের চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ আমদানি করা হয় এদেশে। 


সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এক গৃহবধূ জানিয়েছেন,  "হোয়াটসঅ্যাপে, আমি একটি মেসেজ পেয়েছি। যুদ্ধের কারণে রান্নার তেলে ঘাটতি হতে পারে। তাই, আমি কিনতে ছুটে যাই," সঙ্কটের ভয়ে, ১০ লিটার ভোজ্য তেল কিনে রেখেছেন ওই গৃহবধূ।  সাধারণত তাঁর সংসারে মাসে পাঁচ লিটার করে তেল লাগে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত তার সূর্যমুখী তেলের ৯০  শতাংশেরও বেশি রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে আমদানি করে । যদিও এটি মোট ভোজ্য তেল আমদানির প্রায় ১৪ শতাংশ। 


Mumbai-based Solvent Extractors' Association of India র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর বিভি মেহতার মতে, পাম, সয়া, রেপসিড তেল এবং চিনাবাদামের মতো অন্যান্য ভোজ্য তেলের সরবরাহ যথেষ্ট রয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। 


ভোজ্য তেলের সঙ্গে যুক্ত শিল্পোদ্যোগীরা। সরকারকে তারা নিশ্চিত করেছে, আগামী দুমাস সানফ্লাওয়ার তেলের যোগানে কোনও ঘাটতি হবে না। তবে ইউক্রেন থেকে প্রচুর সানফ্লাওয়ার অয়েল ভারতে আমদানি করা হত।কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেই আমদানির কী হবে?


এরই মধ্যে খাদ্য ও প্রক্রিয়াকরণ দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে শিল্পোদ্য়োগীরা একটি বৈঠক করেন। সেখানে আশার কথাই শোনান তাঁরা। শিল্পপতিরা বলেন, সানফ্লাওয়ার তেলের কোনও ঘাটতি নেই।  পাশাপাশি তাঁরা মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, সানফ্লাওয়ার অয়েলের বিকল্প হিসাবে সরষের তেল ও সোয়াবিন তেলও দেশে রয়েছে।