নয়াদিল্লি: শুধুমত্র বিশেষজ্ঞ মহলেই নয়, মুদ্রাস্ফীতি বেকারত্ব এবং দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে জনমানসেও। ভারতে মূলত শহরের বাসিন্দাদের মধ্যেই উদ্বেগ বেশি। সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা বেকারত্বকে ঘিরেই। এ বার ধরা পড়ল একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায়।


বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতিই উদ্বেগে রেখেছে শহুরে ভারতীয়দের


বাজারের অবস্থা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা IPSOS –এর ‘What Worries the World Survey-’ সমীক্ষায় এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে (IPSOS Survey)। তাতে বলা হয়েছে, শহুরে ভারতীয়রা সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন বেকারত্ব নিয়ে, প্রায় ৩৯ শতাংশ মানুষের দুশ্চিন্তা বেকারত্বকে ঘিরে। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দুর্নীতি নিয়ে উগ্বিগ্ন ২৭ শতাংশ শহুরে ভারতীয়। অপরাধ এবং হিংসার ঘটনায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ২৫ শতাংশ (Indian Economy)।


সামাজিক ক্ষেত্রে অসাম্য ও বৈষম্য নিয়ে ২২ শতাংশ, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ২২ শতাংশ শহুরে ভারতীয় উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে IPSOS। প্রতি ১০ জন শহুরে নাগরিকের মধ্যে অন্তত দুই ভারতীয় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে চিন্তিত। মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে এই মুহূর্তে ভারতের বাজারই সবচেয়ে উদ্বেগজনক জায়গায়, ২৯তম স্থানে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই সমীক্ষা।


আরও পড়ুন: Kangana Ranaut: বছরের শেষে নির্বাচন হিমাচলে, বিজেপি-র হয়ে মাঠে নামতে চান ‘ঘরের মেয়ে’ কঙ্গনা


আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন,  তা নিয়ে বিশ্বের ২৯টি দেশে এই সমীক্ষা চালানো হয়। বিগত ১০ বছরের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তি চালানো হয় এই সমীক্ষা। তার ভিত্তিতেই চলতি বছরের অক্টোবর মাসের এই ‘জনমত’ প্রকাশ করা হয়েছে।


ভারতে IPSOS-এর সিইও অমিত আদরকর বলেন, “করোনার সুদূরপ্রসারী প্রভাব এবং অর্থনীতির শ্লথ গতির ভার এখনও বয়ে চলেছে ভারত। তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও রয়েছে। কর্মসংস্থানে ঘাটতি, ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি, অপরাধমূলক ঘটনা, সামাজিক অসাম্য, তারই ফলশ্রুতি।”


বিশ্বের ২৯টি দেশকে নিয়ে করা হয়েছে সমীক্ষা


গোটা বিশ্বের মানুষকে সবচেয়ে কোন চিন্তা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, তার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। বিশ্বের ৪২ শতাংশ মানুষ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে দাবি ওই সমীক্ষার। এর পর রয়েছে দারিদ্র্য এবং সামাজিক অসাম্য (৩২ শতাংশ)। বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্বের ২৭ শতাংশ মানুষ। ২৬ শতাংশ মানুষ উদ্বিগ্ন অপরাধ এবং হিংসা নিয়ে। অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দুর্নীতি  উদ্বেগে রেখেছে বিশ্বের ২৬ শতাংশ মানুষকে।