বিশাখাপত্তনম: ভারতীয় নৌসেনার মুকুটে নয়া পালক। আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে চলেছে নৌসেনার জন্য তৈরি দেশের প্রথম উপগ্রহ ও পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাকিং যুদ্ধজাহাজ 'আইএনএস ধ্রুব'।
আজ অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে নৌসেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদরে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই রণতরীর উদ্বোধন হতে চলেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নৌসেনার শীর্ষ পদাধিকারী থেকে শুরু করে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও এবং জাতীয় কারিগরি গবেষণা সংস্থা (এনটিআরও)-র শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা।
জাহাজটি তৈরি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ডে। প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে ডিআরডিও এবং এনটিআরও। চিন-পাকিস্তান থেকে উৎক্ষেপণ হওয়া যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের আগাম সূচনা দিতে সক্ষম এই বিশেষ জাহাজ। এই জাহাজের আরেক নাম 'ভিসি-১১১৮৪'।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০ হাজার টনের এই সর্বাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ভারতের ভবিষ্যৎ ক্ষেপণাস্ত্র-রোধক বর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেশের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই জাহাজ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক 'আইএনএস ধ্রুব'-এর বৈশিষ্ট্য (Features of INS Dhruv)
ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ক্ষমতা সম্পন্ন 'আইএনএস ধ্রুব' মূলত ভারতীয় শহর ও সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলির দিকে ধেয়ে আসা শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র-হামলা সম্পর্কে আগাম সূচনা দেবে ও সতর্কতা জারি করবে। বলা যেতে পারে, আকাশে ভেসে বেড়ানো অ্যাওয়াক্স-এর মতো সমুদ্রে ভেসে একই কাজ করবে এই রণতরী।
'আইএনএস ধ্রুব'-এ রয়েছে ডিআরডিও-র তৈরি সর্বাধুনিক অ্যাক্টিভ ইলেক্ট্রনিকালি স্ক্যানড অ্যারে রেডার। এর ফলে, একাধিক স্পেকট্রাম (ব্যান্ডউইদ) স্ক্যান করা সম্ভব। এতে ভারতের ওপর নজরদারি চালানো শত্রুর গুপ্ত-উপগ্রহর হদিশ পাওয়া থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও এর নজর এড়াতে পারবে না।
'আইএনএস ধ্রুব' হল ভারতের প্রথম রণতরী যা দূরপাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রকেও ট্র্যাক করতে সক্ষম। বিশষজ্ঞদের মতে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর ফলে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান পরমাণু হামলার শঙ্কা অনেকটাই দূর হবে। এছাড়া, শত্রু সাবমেরিনগুলির খোঁজ করা এবং সনাক্তকরণের জন্য সমুদ্রতলের মানচিত্র তৈরিতে বিশেষ ভাবে পারদর্শী আইএনএস ধ্রুব।