নয়াদিল্লি : রাজ্যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্ত করছে সিবিআই। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah )সঙ্গে দেখা করে, ফের এরাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৬টার সময়, নর্থ ব্লকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে, অমিত শাহর সঙ্গে ১৫ মিনিট বৈঠক করেন শুভেন্দু। বিধানসভা ভোটের পর এই নিয়ে তৃতীয়বার। 



এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ট্যুইট করে জানান, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করা সবসময়ই আনন্দের। ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি যে আমাকে সময় দিয়েছেন, সেইজন্য ধন্যবাদ। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা যে কমেনি, সে ব্যাপারে তিনি অবগত।' 

দিল্লিতে অমিত শাহ-শুভেন্দু অধিকারীর এই বৈঠক নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ও তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু ট্যুইটারে শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে লেখেন, '' CID জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলে, বিরোধী দলনেতার দেখা করার সময় থাকে না! কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বসে চা খাওয়ার সময় তিনি ঠিকই পেয়ে যান! মনে হচ্ছে, মোটা ভাইয়ের আশীর্বাদে সমস্ত অপরাধ ধুয়ে মুছে যাবে। বিজেপিতে যোগ দিলেই, আপনি হেনস্থা থেকেই মুক্ত।''


এর আগে বুধবার দিল্লিতে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী ও হরদীপ সিংহ পুরীর সঙ্গেও বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী।

গতকালই বিধানসভা ভোটের ফলাফল বেরনোর দিনে মারা যাওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ হস্তান্তর নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক বিবাদ। কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের (Avijit Sarkar) মৃতদেহ হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে এনআরএসের মর্গে। পুলিশের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগে কর্তব্যরত হোমগার্ডের গায়ে হাত তুললেন বিজেপি নেতা! সেই অভিযোগ তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য এই কাজে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান দিলীপ ঘোষ স্বয়ং। বলেন, 'সরকারের গালে থাপ্পড় মারা উচিত, হোমগার্ডকে মেরেছে ঠিক করেছে, মেরে ফেলেছেন, হোমগার্ডের কী অধিকার?' এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা আসে তৃণমূল শিবির থেকে। তারপর বিকেলে অভিজিতের শব যাত্রাতেও পুলিশের সঙ্গে সংঘাত তীব্র হয় বিজেপি শ্মশানযাত্রীদের। এই আবহেই সোমবার সাক্ষাত হয় শুভেন্দু-অমিতের।