নয়াদিল্লি: যোগাভ্যাসে সব সমস্যার সমাধান আছে। দুঃখকে বিয়োগ করার পথই হল যোগ। করোনাকালে হাসপাতালে হাসপাতালে হাসপাতালে যোগাসন করিয়েও ফল মিলছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


আজ সপ্তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এই উপলক্ষে এদিন সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘করোনা সত্ত্বেও যোগ দিবসে উত্‍সাহের খামতি নেই। এবারের থিম সুস্থতার জন্য যোগাসন। 


প্রধানমন্ত্রীর মতে, করোনা আবহে আশার আলো বয়ে আনে যোগ। বললেন, ‘করোনা আবহে আশার আলো যোগ। প্রার্থনা করি গোটা বিশ্ব সুস্থ হোক।’ 


মোদির মতে, ‘অদৃশ্য ভাইরাস করোনা মোকাবিলায় প্রথমে কেউ প্রস্তুত ছিল না। এই কঠিন সময়ে যোগ আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।’


যোগব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কেও অবগত করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘রোগ নিরাময়ে সহায়ক যোগ। যোগ আমাদের সংযমী হতে শিখিয়েছে।’


প্রধানমন্ত্রীর বলেন, ‘সুস্বাস্থ্যই সব থেকে বড় ভাগ্য। সুস্বাস্থ্যই আমাদের সাফল্যের কারণ। যোগাভ্যাসেই মিলতে পারে সুস্থ জীবন।’


মোদি আরও জানান, ‘স্কুলে স্কুলে যোগ শেখানো হচ্ছে। হাসপাতালেও যোগাসন করানো হচ্ছে। এদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্ধৃতিও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। 


এদিন যোগদিবসের প্রচার নিয়ে জোরাল সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে আরও যোগের প্রচার করা উচিত। 
তেমনটা হলে ওয়ান ওয়ার্ল্ড, ওয়ান হেলথের দিকে এগিয়ে যাব সবাই।’


নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘দুঃখকে বিয়োগ করার পথই হল যোগ। যোগের কাছে সব সমস্যার সমাধান আছে।’


আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি। সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে যোগাভ্যাস করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে সামিল হন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও।


অন্যদিকে, বিভিন্ন জায়গায় যোগাভ্যাস করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। সামিল হন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, নিতিন গডকড়ীও যোগাভ্যাস করেন।


হরিদ্বারের যোগগ্রামে বিভিন্ন বয়সীদের নিয়ে যোগ চর্চা করেন রামদেব। মালদা যোগ চর্চা করেন সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।