শ্রীনগর: জঙ্গি হামলায় ফের রক্ত ঝরল জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir)। রোজগারের আশায় সেখানে গিয়ে এ বার প্রাণ হারালেন এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Worker)। জঙ্গিদের ছোড়ো গ্রেনেড বিস্ফোরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে (Terrorist Attack)। এই হামলায় আরও দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। 


উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ফের ঝরল রক্ত



কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার গন্ডুরা এলাকায়, ওই শ্রমিকরা যেখানে ছিলেন, তার বাইরে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। তাতে এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দু’জন আহত হয়েছেন। হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: Chief Justice of India: তিল তালাক অবসানের পক্ষে মত দিয়েছিলেন, বিচারপতি ললিতই দেশের পরবর্তী CJI হওয়ার পথে


এখনও পর্যন্ত যে খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, মৃত পরিযায়ী শ্রমিক আদতে বিহারের বাসিন্দা। দরিদ্র মুসলিম পরিবারের ছেলে। জঙ্গিদের গ্রেনেডের মুখে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হামলার ঘটনা হিসেবে দেখছে না উপত্যকার পুলিশ। কারণ রাত পোহালেই ৫ অগাস্ট, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংরক্ষণের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের তিন বছর পূর্তি। তার আগে, রীতিমতো পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। উপত্যকা জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা।


তবে এই প্রথম নয়, বিগত কয়েক মাস ধরেই উপত্যকায় ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তদন্তে জানায় পুলিশও। এই ঘটনায় তাই স্বাভাবিক ভাবেই অস্থিরতা বেড়েছে। 


রাত পোহালেই অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের চার বছর পূর্তি 


যদিও এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দুষছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি। উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ তাদের। শুধু তাই নয়, কিছু সংগঠনের মেরুকরণের রাজনীতির জন্যই নাশকতামূলক ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ উপত্যকার রাজনীতিকদের।