ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের নবনির্মিত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিজেপি (BJP) নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) ব্যাট হাতে নেমেছিলেন। আর ব্যাট হাতে নিয়েই বিজেপিরই এক কর্মী-সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দিলেন জ্যোতিরাদিত্য!


নতুন স্টেডিয়ামে ম্যাচ


গ্বালিয়রের রাজ পরিবারের বংশধর জ্যোতিরাদিত্যর ক্রিকেটপ্রেম সম্পর্কে প্রায় সকলেই অবগত। ধীরজ দিবেদি নামক এক স্থানীয় বিজেপি কর্মী পিটিআইকে জানান, ইটাউডায় মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার (Madhya Pradesh Cricket Association) নবনির্মিত এক স্টেডিয়ামে বিজেপি নেতাকর্মীরা এক প্রীতি ম্যাচ অংশ নিয়েছিলেন। গতকালই সেই স্টেডিয়ামের উদ্বোধনও। সেখানে জ্যোতিরাদিত্যর পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদ জনার্দন মিশ্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পরেই ম্যাচ খেলতে নামেন বিজেপী কর্মী-নেতারা। এখানেই ব্যাট করার সময় বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য এক জোরাল শট মারেন। বিকাশ মিশ্র নামক এক বিজেপি কর্মী-সমর্থক সেই শটেই ক্যাচ ধরতে যান। তবে তিনি ক্যাচ তো ধরতেই পারেননি, উল্টে বল সজোরে তাঁর কপালে গিয়ে লাগে।


হাসাপাতালে জ্যোতিরাদিত্য


বল লাগার সঙ্গেই সঙ্গেই তাঁর মাথা ফেটে অঝরে রক্ত পড়তে থাকে, মাথায় গভীর ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়। খেলা থামিয়ে দ্রুত বিকাশের কাছে ছুটে গিয়ে নিজেই তাঁর ক্ষতে রুমাল চেপে ধরেন জ্যোতিরাদিত্য। তারপর তাঁকে সঞ্জয় গাঁধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তাঁকে দেখতে ছুটে যান জ্যোতিরাদিত্য। প্রসঙ্গত, ওই দিনই রেওয়া জেলায় এক বিমানবন্দর তৈরির প্রথম ইটটি গাঁথেন জ্যোতিরাদিত্য। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই বিমানবন্দর তৈরির জন্য মোটামুটি ২৪০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। মধ্যপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানেই বিন্ধ এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির কথাও ঘোষণা করেন। এই সড়কপথে রাজধানী ভোপালের সঙ্গে সিঙ্গুরালি, প্রায় ৬৬০ কিলোমিটার যুক্ত করবে।


গুলমার্গে রাহুল গাঁধী


জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) শেষ হয়েছে কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড়ো যাত্রা। যাত্রা শেষের পর আপাতত সেখানেই রয়েছেন রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। বুধবার জম্মু–কাশ্মীরের বরফঢাকা গুলমার্গে স্কি করতে দেখা গেল রাহুলকে। সনিয়া-পুত্রকে দেখে পর্যটকরাও উচ্ছ্বসিত। অনেকেই এগিয়ে আসেন সেলফি তুলতে। ভারত জোড়ো যাত্রায় নানা সময়ে নানাভাবে দেখা গিয়েছিল রাহুল গাঁধীকে। কখনও দক্ষিণ ভারতে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সমুদ্রে নেমে সাঁতার, কখনও আবার নিপুণ দক্ষতায় ডন-বৈঠক।


উল্লেখ্য, কাশ্মীর গ্রেনেড চায় না। ভালবাসা চায়। প্রায় চার হাজার কিলোমিটারের ভারত জোড়ো যাত্রার শেষে কাশ্মীরে বার্তা দিইয়েছিলেন রাহুল। বিজেপির বিভাজনের বিরুদ্ধে গতবছরের ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল গাঁধী। ৩ হাজার ৯৭০ কিলোমটার রাস্তা, ১২টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পায়ে হেঁটে এবারের মতো তা শেষ হয়েছিল কাশ্মীরে। এর আগে বরফ ঢাকা কাশ্মীরে কার্যত ছোটবেলায় ফিরে গেছিলেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা। খেলার ছলে একে অপরের গায়ে বরফ লাগাতেও দেখা যায় ভাই-বোনকে।


আরও পড়ুন: