নয়াদিল্লি:
রায়পুরের এসপি প্রশান্ত আগরওয়াল বলেছেন, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো থেকে ২৫ কিমি দূরে বাগেশ্বরী ধামে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন কালীচরণ মহারাজ। এদিন ভোর চারটে নাগাদ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এদিন সন্ধের পর কালিচরণকে নিয়ে পুলিশের দল আজ সন্ধের পর রায়পুরে পৌঁছবে।
কালিচরণের বিরুদ্ধে ছত্তীসগড় থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একাধিক মামলা রয়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশ বেশ কিছুদিন ধরেই কালিচরণের খোঁজ করছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রায়পুরে মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে গেস্ট হাউসে লুকিয়ে ছিলেন কালিচরণ।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা জিতেন্দ্র আহওয়াড় কালিকরণের বিরুদ্ধে ঠানে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। নিজেকে কালীর পুত্র বলে দাবি করা কালীচরণ গাঁধীজী সম্পর্কে রায়পুরের ধর্ম সংসদে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। এরপর গত ২৭ ডিসেম্বর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি ৮.৫১ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, যে কথা তিনি বলেছেন, তা নিয়ে তাঁর কোনও আফসোসও নেই। শুধু তাই নয়, মহাত্মা গাঁধীর বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন। সর্দার বল্লভভাই পটেলকে প্রধানমন্ত্রী না করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কালীচরণের দাবি, মহাত্মা গাধী জাতির জনক নন, তিনি পরিবারতন্ত্রের জনক।
গত ২৬ ডিসেম্বর ধর্ম সংসদে মহাত্মা গাঁধী সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্যের পরই কালীচরণ ছত্তীসগড়ে থেকে ফেরার হয়ে যান। পরের দিন ভিডিও প্রকাশ করে জানান, মহাত্মা গাঁধী সম্পর্কে বক্তব্যের জন্য তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই। এই ভিডিও-র পর পুলিশের সাইবার সেল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত দেখা যায়, কালীচরণের লোকেশন খাজুরাহো। এরপর পুলিশের তিন-তিনটি দল পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রায়পুর থেকে ফেরার হওয়ার পর কালীতরণের ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শেষবার খাজুরাহোতে ফোন চালু করেও ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ আজ ভোরে কালীচরণকে গ্রেফতার করে।